নিজের বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে খুন হলেন স্কুল শিক্ষক ও তাঁর গোটা পরিবার
HnExpress বিশেষ প্রতিবেদন, বহরমপুর : বিজয়া দশমীর দিন নিজের বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে এক মর্মান্তিক নৃশংসতার সাথে খুন হলেন স্কুল শিক্ষক ও তাঁর গোটা পরিবার৷ মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত জিয়াগঞ্জের সদরঘাট লাগোয়া লেবুবাগান এলাকায় স্কুল পেশায় সরকারি স্কুলের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল এবং তাদের ৫ বছরের একমাত্র সন্তান অঙ্গনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এলাকায়৷
এমন নৃশংস ভাবে সপরিবারে শিক্ষকের খুনের প্রতিবাদে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন জেলা শিক্ষকদের একাংশ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে চপার জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মূলত ঘারের কাছে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে৷ এছাড়াও দেহের অন্যান্য অংশেও আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের অনুমান, তারা আততায়ীর কাছে নিজেদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার জন্য অনুনয়-বিনয় করার সময় প্রতিরোধ করতে যাওয়ার ফলেই দেহে এই ক্ষত চিহ্নের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আমাদের এই বছরের পুজো পরিক্রমা ২০১৯, যারা যারা আমাদের সাথে সহযোগী পার্টনার ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারা অতিসত্বর যোগাযোগ করুন ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬।
কিন্তু খুনের পরেও আলমারি অবিন্যস্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় খুনের মোটিভ নিয়ে জারি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক শত্রুতার কারণেও তাঁদের এমন নৃশংস ভাবে খুন করে করা হয়ে থাকতে পারে৷ একজন শিক্ষককে ও তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী-পুত্রকে যে ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, তাঁর পিছনে পেশাদারী খুনিদের যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ৷
যদিও ইতিমধ্যেই নিহত শিক্ষকের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে দিয়েছে পুলিশ৷ তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ সুত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জিয়াগঞ্জের সাহাপুর প্রাথমিক স্কুলে ২০০৫ সালে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেন বন্ধুপ্রকাশ৷ আর বিয়ে করেন তার ঠিক ৬ বছর আগে৷