ঐতিহের আকর নিয়ে পুজোয় সেজেছে সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা ঃ ভাবতে পারেন কলের গানে বাজছে আঙুরবালা, সায়গলের কন্ঠ? না পারবেন না। যাঁরা পারতেন, তাঁরা সকলেই চলে গিয়েছেন অন্য এক লোকে। কিন্তু লং প্লেইংয়ে কি বাজছে হেমন্ত-শ্যামল মুখোপাধ্যায়ের কালজয়ী ঐতিহের আকরে সাজানো গানগুলি? আর আপনি বিছানায় আধশোয়া অবস্থায় ডুবে গিয়েছেন সুরের ঝর্ণাধারায়? হ্যাঁ, এ রকম এখনও অনেককে খুঁজে পাওয়া যাবে। আর সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক এর পুজো।
সময়ের সরণী দিয়ে এগিয়ে চলেছি সবাই। একে একে স্মৃতির ধারাপাতে বিবর্ণ হয়ে উঠছে অনেককিছুই। কলের গান তো দূর অস্ত, রেকর্ড প্লেয়ার, ক্যাসেট প্লেয়ার, সিডি, রেডিও, ট্রানজিস্টার সেট, কালো টেলিফোন, পেজার, সেই পুরনো মোটরোলা মোবাইল— কত জিনিস যে এলো আর গেল। প্রযুক্তি কাউকেই তিষ্ঠোতে দেবে না।
অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আমাদের এবছরের পুজো পরিক্রমা ২০১৯, যারা যারা আমাদের সাথে সহকারী পার্টনার ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারা অতিসত্বর যোগাযোগ করুন ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬।
আর এই ‘বিস্মৃতি’-কেই পূর্ব যাদবপুরের সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক সর্বজনীনের পুজো মন্ডপের থিমে অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন শিল্পী অসীম পাল। ক্লাবের দুই কর্মকর্তা পার্থপ্রতীম রায় ও দেবাশিস সাহা জানান, ২০০২ থেকে শুরু তাঁদের এই থিমের পুজো। পুরস্কার দাতাদের স্বীকৃতির চেয়েও বড় বিচার্য জনতার আদালতের স্বীকৃতিপ্রাপ্তি।
অসীমবাবুর নির্দেশনায় ত্রিকোণ পার্কের থিমের নাম ‘বিস্মৃতি’। কী নেই সেখানে? প্রবেশপথের সামনে প্রায় ৬ ফুট উঁচু উনুন। লোহার তৈরি। সেকালের বক্স ক্যামেরায় সেই ভাঁজের অংশ মনে পড়ছে, যাকে বলে ‘বেলো‘? প্রবেশপথে তার আদল। ছেলেবেলায় আমরা হাতে এক ধরণের চড়কি নিয়ে দৌড়োতাম, সে রকম দুটি পেল্লাই চড়কি ওপরে। প্রায় ২৪ ফুট নিয়ে অবিকল পুরনো দেওয়ালের আদল।
ভিতরে গ্রামাফোন থেকে রেডিও, টেলিফোন সেট, পুরনো টিভি সেট, ঘড়ি, কালো সুইচ। আছে স্লেট দিয়ে দেওয়াল, প্রায় ৪০টি শিল। পুরনো দিনের জলের কলের মুখ দিয়ে আলো বার হচ্ছে। আছে ৩০-৪০ বছরের পুরনো নানা বিজ্ঞাপনের পরিবর্ধিত রূপ। সব দেখে দর্শক স্মৃতিমেদুরতায় ভেসে যেতে বাধ্য।