তরুণী চিকিৎসক হত্যাকান্ডে আমৃত্যু কারাদন্ড সঞ্জয় রাই এর

HnExpress রাজ ঘোষাল, কলকাতা : সোমবার শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হলো। কিন্তু এটা কি সঠিক রায় দান হলো? আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডে কর্মরতা ডাক্তার কন্যা তিলোত্তমার ধর্ষণের পর মৃত্যু ঘটেছিল অস্থায়ী সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাই এর হাতে। এটা তো পরিষ্কার মৃত্যু তো মেয়েটার হয়েছে সেই একজন দোষী সঞ্জয় রাই এর হাতেই। নির্ভয়াকান্ডে (Nirbhaya) যে নিঃসঙ্গতা দিল্লি ডেকেছিল তাতে কিন্তু ফাঁসি হয়েছিল।
শুধুমাত্র নাবালক বলে বেঁচে যাওয়া একজনকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। বাকি তিনজনের ফাঁসি হয়। এক সরকারি ডাক্তারকে একজন অস্থায়ী সিভিক কর্মচারী পুলিশ রাত্রিবেলা নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে তাকে ধর্ষণ করে খুন করে। প্রথমে পুলিশ সেটা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে। পরে সঞ্জয়কে ধরে, তারপর তাকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। সঞ্জয়ের সাথে এই ক্রাইমে রাজ্য সরকারের ডাক্তারি পরিষেবার বড় বড় মাথারা কি সত্যিই জড়িত নয়?

তা না হলে একা সঞ্জয়ের পক্ষে কি এরকম মারাত্মক খুন-ধর্ষণ (Rape-Murder) করা সম্ভব হতো? তাও আবার আরজিকরের মত সরকারি হাসপাতালের কর্মরত এক চিকিৎসক কন্যাকে! আদতে তিলোত্তমা কি সঠিক বিচার পেল? এদিকে আদালতের রায় শোনার পর রাজ্যের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে প্রকৃত ন্যায় বিচারের আশায়। তাঁর দাবি সঞ্জয় এর মৃত্যুদন্ড চাই।
কারণ এটাও বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। এখন দেখার বিষয় আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করার পর তিনি মুখ খোলেন নাকি ফাঁসির সাজা শুনে আসল সত্য ফাঁস করে। এই আর্জি ডিভিশন বেঞ্চ মঞ্জুর করেছেন, এখন কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) কি রায় শোনায় সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা। আজ শিয়ালদহ আদালতে সাজার রায়ে ঘোষণার আগে এবং পরে মিডিয়াকে কার্যত পুলিশ বল প্রয়োগ করে আটকে রাখে।

মূলত সঞ্জয় রাই যাতে মিডিয়ার সামনে কিছু না বলতে পারে সেই ব্যাপারে পুলিশ বেশ সজাগ এবং তৎপর ছিল। এখনও সঠিক বিচার পেল না তিলোত্তমা (Tilottama)। তবে যেদিন প্রকৃত দোষীরা সাজা পাবে, সেই দিন আর জি করের কর্মরত অবস্থায় ধর্ষণ এবং খুন হয়ে যাওয়া ডাক্তার কন্যার আত্মা এবং তার পরিবার শান্তি পাবে। আপামর জনতা এখন সেই উত্তরের অপেক্ষায় বসে।