মধ্যমগ্রাম পৌরসভার উদ্যোগে চালু হলো সেফ হোম, পরীক্ষা মূলক ভাবে চালু হলো দুয়ারে রেশন কর্মসূচি—
HnExpress ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত, মধ্যমগ্রাম ঃ করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভেসে গেছে বহু মূল্যবান প্রাণ। ভাইরাসে সংক্রামিত হয়ে আক্রান্তের সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। তাই মানব জাতির কল্যানের কথা মাথায় রেখে মে মাসের ১৬ তারিখ থেকে বাংলা জুড়ে চলছে কড়া লকডাউন। ঠিক তার আগেই শেষ হয়েছে ২১ এর নির্বাচন প্রক্রিয়া। লকডাউন এর জেরে আজ বহু মানুষ কর্মহীন, গৃহহীন, খাদ্য সংকটে। এক অনিশ্চিত সময়ের মধ্য দিয়ে কাটছে সবার জীবন।
আর অন্যদিকে এই করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন এলাকার করোনা আক্রান্তদের কথা মাথায় রেখে এদিন মধ্যমগ্রামের সোয়াদা প্লাজাতে পৌরসভার উদ্যোগে উদ্বোধন করা হল সেফ হোম। যার শুভ উদ্বোধন করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক রথীন ঘোষ। এই সেফ হোমে মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে মোট ৮০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনজন নার্স আর তিনজন চিকিৎসক সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও আছে বলে জানালেন মন্ত্রী তথা বিধায়ক রথীন ঘোষ।
এরই পাশাপাশি তৈরি করা হলো দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য উচ্চ পর্যায়ের এক কমিটি। এদিন খাদ্যমন্ত্রীর উজ্বল উপস্থিতিতেই এই পরীক্ষামূলক পর্যায়ে দুয়ারে রেশন কর্মসূচির ব্যবস্থাও করা হয়। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, এই ভয়ংকর মহামারীর প্রেক্ষিতে গাড়ি করে রেশন ডিলাদের দিয়েই গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই বিষয় উপযুক্ত সিধান্ত নেবে এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।
তিনি আরও বলেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগেই রাজ্যের প্রায় দশ কোটি আঠাশ লক্ষ মানুষের দুয়ারে এই রেশন পৌঁছে দেওয়া সম্ভবপর হতে চলেছে। তবে যারা এখনো রেশন কার্ড পাননি তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কার্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে সুত্রের খবর। এদিন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সহ পৌরসভার বিরোধী দলনেতা সনৎ বিশ্বাস প্রমুখ।