মন্ত্রীর ভাবনায় বিপ্লবীর জয়গাথা ‘বহ্ণিবালক বসন্ত’
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা ঃ দীর্ঘদিনের মন্ত্রী। কিন্তু তাঁর অন্য পরিচয়টা খুব বেশি লোকের জানা নেই। তিনি হলেন নদিয়া-অন্তপ্রাণ উজ্জ্বল বিশ্বাস। ১৫ই আগস্ট দিনটা বছরের আর পাঁচটা দিনের চেয়ে তাঁর কাছে একটু অন্য মাত্রার।
কারামন্ত্রী হিসাবে ওই দিন তিনি স্মরণ করলেন আলিপুর ও প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের বন্দি ও শহিদদের। পতাকা উত্তোলন করলেন বিভিন্ন জায়গার। রাতে কলকাতা দূরদর্শন দেখাল তাঁর ‘বহ্ণিবালক বসন্ত‘। হ্যাঁ, ছবিটির বিষয়, ভাবনা আর চিত্রনাট্য খোদ মন্ত্রী মশাইয়ের।
বড়লাটকে হত্যার দায়ে ১৯১৫-র ১১ই মে ফাঁসি হয় কিশোর বসন্ত’র। তাঁর নাতি তরুণ বিশ্বাস এই প্রতিবেদককে বললেন, “বসন্ত ছিলেন এই জেলার প্রথম শহিদ। বাঘাযতীনের জন্ম অন্যত্র হলেও তাঁর মামারবাড়ি ছিল কৃষ্ণনগরে। এখানে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। পড়তেন কৃষ্ণনগর এভি স্কুলে।
যেকোনো রকমের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।
সে বছর সেপ্টেম্বর মাসে বুড়ি বালামের তীরে আত্মবলিদান দেন বাঘাযতীন। তাঁকেও আমরা এই জেলার শহিদের মান্যতা দিই। নদীয়ার আর এক নমস্য বিপ্লবী হলেন অনন্তহরি মিত্র। তাঁর নামে রাস্তা আছে। ওঁদের মূর্তিও আছে কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে।
তরুণবাবু জানান, উজ্জ্বলবাবুর বাবার খুড়তুতো ভাই নদিয়ার প্রথম শহিদ বসন্ত বিশ্বাস। কয়েক বছর আগে মন্ত্রী তৈরি করেন দেড় ঘন্টার ছবি ‘বহ্ণিবালক বসন্ত‘। পরিচালক ডঃ শঙ্কর মজুমদার। ছবিতে এসেছে সমকালীন বিপ্লবী কর্মকান্ডের আপাত-অজানা নানা কথা।
২০১৫-র মে মাসে বসন্ত বিশ্বাসের মৃত্যুর শতবর্ষ উপলক্ষে দিল্লিতে স্মরণসভা হয়েছিল। নদিয়া -কলকাতা থেকে অনেককেই এদিন সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিয়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী মশাই। কৃষ্ণনগর থেকে প্রায় ৮ মাইল দূরে পোড়াগাছায় এবং কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে বসন্ত বিশ্বাসের আবক্ষ মূর্তি বসেছে। এ সবের নেপথ্যে অনেকটা অবদানই হল মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের।