পুত্র নয়, কন্যার নামেও পুজোয় মন্ত্র পড়ুন— দাবি নানা মহলের
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা ঃ মহালয়া। পিতৃপক্ষের সমাপ্তি, দেবীপক্ষের সূচনা। ভোরে রেডিয়োয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ বয়ে নিয়ে আসে শারদ বার্তা— ‘মা আসছেন’। তার সাথেই দাবী উঠলো নানা মহল থেকে, শুধু পুত্র নয়, কন্যার নামেও পুজোয় মন্ত্র পড়ুন।
এখন তর্পণে দেখা যায় মহিলাদেরও। ঘটনাটি বিরল হলেও গত কয়েক বছর ধরেই তর্পণে সামিল হতে দেখা গিয়েছে বহু মেয়েকেও। কিন্তু কেন মেয়েদের সঙ্গে তর্পণের সম্পর্ক প্রচলিত নয়? এই প্রশ্নে বারবার ফিরে আসে কয়েকটি ঘটনা। যে দেশে বহু মেয়ের জন্মানোরই অধিকার জোটে না, আর জন্মালেও গরম দুধে ডুবিয়ে মেরে ফেলা হয়, যাতে দেবতা তুষ্ট হয়ে সংসারে ছেলে পাঠান, সেই সমাজে নাকি আবার তর্পণ করবেন মহিলারা!
পুজোর উদ্যোক্তা হিসাবে অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই এগিয়ে এসেছে মেয়েরা। কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা জায়গায় রয়েছে বেশ কিছু মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো। সম্প্রতি মহানগরী ও তার সংলগ্ন প্রায় ২৫টি মহিলা পরিচালিত পুজোর উদ্যোক্তারা মিলে তৈরি করেছেন একটি সংগঠন। যদিও এই মোর্চা তৈরি হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অনুপ্রেরণায়।
অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আমাদের এবছরের পুজো পরিক্রমা ২০১৯, যারা যারা আমাদের সাথে পার্টনার ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারা অতিসত্বর যোগাযোগ করুন ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬।
কিন্তু মন্তরোচ্চারণের বদল কে করবেন? এবার পুজোয় বেহালার একটি ক্লাব প্রচার শুরু করেছে কন্যা সন্তান আমাদের শক্তি। এর নেপথ্যে সাউথ পয়েন্টের প্রাক্তনী নির্মাল্য রায়চৌধুরী (দীপ), যিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। প্রায় দেড় যুগ মার্কিন মুলুকে কাটিয়ে সবে পাকাপাকিভাবে ফিরে এসেছেন ‘মাটির টানে’। পরিচিতদের কাছে তিনি আর্জি জানাচ্ছেন মন্ত্র উচ্চারণের সময় পুত্রন্ দেহির বদলে কন্যান দেহি বলতে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানালেন, “এর জন্য ব্যানারেও প্রচার করা হচ্ছে।“
একটি নামী ইংরেজি দৈনিক পত্রিকাও প্রচার শুরু করেছে, আসুন সবাই মিলে বলি সন্তানান দেহি। অঞ্জলির সময় আর পুত্র নয়। মেয়েরা ছেলেদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। সব ক্ষেত্রেই তারা এগিয়ে চলেছে সমানে সমানে। তাহলে কেন অঞ্জলির সময় শুধু পুত্রন্ দেহি? আসুন না আমরা একসঙ্গে বলি সন্তান দেহি। আর মায়ের কাছে শুধু পুত্র বা কন্যা নয় যোগ্য সন্তান কামনা করি।”