অভিনব বচনে নির্বাচনী প্রচারে মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রথীন ঘোষ—
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, মধ্যমগ্রাম ঃ এক একটা দিন শেষ হবার সাথে সাথে এগিয়ে আসছে ভোটের দিন। কন্যাশ্রী”, “যুবশ্রী”, এমন কি “দুয়ারে সরকার”, “পাড়ায় পাড়ায় সমাধান”, ও “স্বাস্থ্যসাথী”র মতো প্রকল্পের সুবিধা পেয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রলভনে অনেকেই পালা বদল এর সাথে দল বদলে ব্যাস্ত। পিছিয়ে নেই বাম জোটও। কংগ্রেস ও আইএসএফ এর সাথে জোট করে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন তাঁরা। অভিনব বচনে নির্বাচনী প্রচারে মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা পুর প্রশাসক রথীন ঘোষ। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অন্তর্গত মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রথীন ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী তালিকায় নির্বাচিত হওয়ার পরেই নিজের হাতে দেওয়াল লিখে নিজের প্রচার শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, রথীন ঘােষ হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। যিনি বহু বছর যাবৎ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে যুক্ত। ২০১১ সাল থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অন্তর্গত মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের দামামা বাজতেই তিনিও নিজের প্রচারে নির্বাচনী সভা আরম্ভ করেন। তিনি বক্তৃতার মধ্যেই সরাসরি আক্রমণ করেন বামেদের সংযুক্ত ফ্রন্টকে। যেখানে এখন মধ্যমনি আব্দুল সিদ্দিকী ওরফে ভাইজান। যারা বলছে, “ফেরাতে হাল ফিরুক লাল”। তবে লাল ফিরলে কি হাল হবে তা বাংলার মানুষ জানে।
“এ লাল লালা লাজপত রায়ের লাল নয়, এ হলো ফিকে লাল। এ লাল এখন আর চলবে না।” তিনি আরও বলেন, আপনারা সকলেই জানেন যে নির্বাচন আসন্ন। বাংলার মানুষ মনে মনে এক সংকল্প নিয়েছে। এখানে বাম নয়, এখানে বিজেপির পদ্ম নয়। “হাতুরি, হাত, পদ্ম বাংলায় এবার হবে জব্দ।” মুকুলদারা এখন এক খেলায় মেতেছেন, উদ্দেশ্য হলো মমতা ব্যানার্জিকে সরানো।
ফলে মানুষও সেই জন্য সংকল্প নিয়েছেন, “জেদ ধরেছে জনতা, নবান্নে আবার চাই মমতা”। এর পর তিনি বলেন, ১৭ই এপ্রিল নির্বাচনের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আস্থা রেখে তাঁকে দাড় করিয়েছেন তা আমি সফল করবোই। ফুটবলে একটা কথা আছে পর পর যদি ৩টে গোল দিতে পারো তবে হ্যাট্রিক হয়। তা আমার দুটো গোল হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই, আর একটার জন্য এলাকাবাসীর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করি, যাতে আমিও হ্যাট্রিকটা পূরণ করতে পারি।