দিল্লীর অস্থির পরিস্থিতির শিকার হয়েও অন্যের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন প্রেমকান্ত বাঘেল
HnExpress ২৭শে ফেব্রুয়ারী, ওয়েবডেক্স নিউজ, দিল্লি ঃ দিল্লীর অস্থির পরিস্থিতিতেও মানবিকতার নিদর্শন স্বরূপ মানুষটির নাম প্রেমকান্ত বাঘেল। যিনি গতকাল দিল্লীর অস্থির পরিস্থিতির শিকার হয়েও অন্যের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে, মুসলিম প্রতিবেশীর বাড়িতে কারা যেন আগুন লাগাচ্ছে। সেটা শুনে আর ঠিক থাকতে পারেননি তিনি, পারেননি নির্লিপ্ত হয়ে বসে থাকতে। তিনি জানতেন এই উন্মত্ত জনতা সো কলড ‘ধর্ম কে বাঁচানো’-র জন্য কিই না করতে পারেন।
তাই ছুটে গেছিলেন আটকাতে নিজের জীবনের পরোয়া না করে। কিন্তু ততক্ষনে আগুনের লেলিহান শিখা অনেকটাই উঁচুতে পৌঁছে গেছে আশেপাশের সব কিছুকে গ্রাস করতে করতে। তবুও জীবনের তোয়াক্কা না করেই একে একে বার করে আনেন ৬ জন মানুষকে। যার মধ্যে ছিলেন একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধাও।
কিন্তু এই মহৎ কাজটি করতে নিজেকে হতে হয়েছে অগ্নিদগ্ধ। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, অন্যের জীবন বাঁচানোর মত মহৎ কাজ করেও শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া প্রেমকান্তকে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনও গাড়ি পাওয়া যায়নি সেদিন। ফোন করে এম্বুলেন্সকেও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি তাও। সারারাত ওইভাবে পোড়ার যন্ত্রণায় ছটফট করে থাকার পরে আজ সকালে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ে তাঁকে।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও বারবার তার মুখ থেকে শোনা গেছে, তিনি খুশী এই ৬ জন মানুষের মূল্যবান প্রাণ বাঁচাতে পেরেছেন বলে। হোক না সে মুসলিম বা হিন্দু বা শিখ কিংবা ইশাহী! তাঁর ৭০% দগ্ধ শরীর ৬টা মানুষের জীবন লেলিহান লালসার হাত থেকে বাঁচিয়ে মানবিকতার এক দৃষ্টান্ত মূলক নজীর সৃষ্টি করলেন প্রেমকান্ত, তা আজ বলাই বাহুল্য।
দিল্লীর এমন ডামাডোল ও সন্ত্রাসমূলক নারকীয় পরিস্থিতিতেও প্রেমের এমন মহান ত্যাগ আজ প্রেমকান্ত বাঘেলের নামের স্বার্থকতাকে পূর্ণতা দিল। যদিও এই মুহুর্তে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আর টানাপোড়েনের মাঝে আটকে আছে প্রেমকান্তের মত একটি মূল্যবান জীবন আধার। চলছে তাঁকে ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা।