“চরিত্রহীনতার বদনাম দেওয়ায় শাশুড়িকে পিটিয়ে খুন অন্তঃসত্ত্বা বধূর”
HnExpress ৩১শে অক্টোবর, অরুণ কুমার, গুজরাট ঃ চরিত্রহীনতার বদনাম দেওয়ায় শাশুড়িকে পিটিয়ে খুন অন্তঃসত্ত্বা বধূর। দেশে সম্প্রতি মহিলাদের বিরুদ্ধে একের পর এক, একের পর এক, অপরাধ যেভাবে বাড়ছে তাতে বিশেষ ভাবে সোচ্চার হয়ে উঠেছে নেটিজেনদের দুনিয়া। বেশ কিছুদিন আগেই শাশুড়ির উপর গৃহবধূর অত্যাচার এবং পরে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ঝড় বয়ে গেছে নেট দুনিয়ায়।
আর এই ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানান প্রশ্ন উঠে এসেছে।
বিয়ের পর একটি বছরও কাটতে না কাটতেই, নববধূকে চরিত্রহীনতার বদনাম দেওয়ায় সেই শাশুড়িকে পিটিয়ে খুন করল অন্তঃসত্ত্বা বধূ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আমদাবাদ শহরে।
লোহার রড দিয়ে শাশুড়িকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক গৃহবধূ। অভিযুক্তা নিকিতা আগরওয়ালের বয়স মাত্র ২৯ বছর।
মাত্রই ১০ মাস আগেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ৫২ বছর বয়সী বৃদ্ধা শাশুড়ি রেখা আগরওয়ালকে হত্যার অভিযোগে সোলা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে নিকিতাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তা গৃহবধূ নিকিতা মাত্র পাঁচ সপ্তাহের গর্ভবতী। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে মাঝে মাঝেই ঝগড়া লেগে থাকত তাঁর। জানা যাচ্ছে, আর শাশুড়িও প্রায়শই নিকিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন। আগরওয়াল পরিবারের আদি বাড়ি রাজস্থানের পালিতে।
দেড় বছর হল তাঁরা আমদাবাদের এ বাড়িটিতে এসেছেন। আরও জানা গিয়েছে, গোটা নামক এলাকার রয়্যাল হোমসের ডি ব্লকের বাসিন্দা রেখা বাড়ির একতলায় থাকতেন স্বামী রাম নিবাস এর সঙ্গে। তাঁদের পুত্র দীপকের সঙ্গে পুত্রবধূ নিকিতা থাকতেন দোতলায়। গ্রানাইটের ব্যবসায়ী ছিলেন রাম নিবাস। ব্যবসায় তাঁকে সাহায্য করতেন দীপক। কিন্তু কিছুদিন ধরে অসুস্থতার কারণে রাম নিবাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত মঙ্গলবার রাতের দিকে বাবাকে দেখার জন্য হাসপাতালে যান দীপক। তখনই তাঁদের বাড়ি থেকে অস্বাভাবিক চীৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ফোন করে খবর দেন দীপককে। বাড়ি ফিরেই ধাক্কাধাক্কি করে দরজা খুলে বাড়িতে ঢোকেন দীপক। দেখেন তাঁর মা মাটিতে নিথর শুয়ে, চারপাশে থইথই করছে তাজা রক্তের সমুদ্র। এদিকে, একটি অন্য ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বসে ছিলেন নিকিতা।
এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে ও মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। অভিযুক্ত গৃহবধূ নিকিতাকে এদিন পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গৃহবধূ কর্তৃক শ্বাশুড়িকে হত্যার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু গুজরাটই নয়, সারা দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন! পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।