December 9, 2024

মধ্যমগ্রামের জনকল্যাণ মাঠে অনুষ্ঠিত হলো “ফোনিক্স” এবং “আমরা সবাই এক্সটেন্ডেট” আয়োজিত “শিশু উৎসব ও হস্তশিল্প সম্মেলন”

0
Img 20210126 Wa0003.jpg
Advertisements

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, মধ্যমগ্রাম ঃ পৃথিবীর জন্ম লগ্নের পর থেকে মানব সভ্যতা উন্নতির শিখরে ওঠার সাথে সাথে জন্ম হয়েছে সমাজের। মানুষ সমাজেরই একটি অংশ অর্থাৎ মানুষও সামাজিক জীব। এই সমাজ গঠিত হয় ধনী-দরিদ্র, অসহায়, নিপীড়িত ও শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সবাইকে নিয়ে। আর সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের জীবনের অনেকটা সময় শেষ হয় অনেক অপ্রাসঙ্গিক কাজের মধ্য দিয়ে।

এই অপ্রাসঙ্গিক কিছু কাজকে দূরে ঠেলে দিয়ে কিম্বা ব্যাক্তিগত কাজের সময়ের মধ্য থেকে কিছু সময় বের করে নিয়ে শৈশব থেকে বার্ধক্যের পথে হাঁটতে হাঁটতে সামাজিক জীব হিসাবে সমাজের প্রতি মানুষের কিছু কর্তব্য থেকে যায়। যেগুলি হলো অনাথ কিম্বা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সমাজেরই কিছু ব্যক্তি তাদের কিছু মূল্যবান সময়কে কাজে লাগান অসহায়, নিপীড়িত, দরিদ্র ব্যক্তিদের মুখে হাসি ফোটানোর তাগিদে।

“ফোনিক্স এবং “আমরা সবাই এক্সটেন্ডেট” এমনই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যাদের সকল সদস্যবৃন্দ সমাজের কল্যানে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। যেখানে আজ শিশুদের শৈশব প্রায় বিলুপ্তির পথে, সেখানে তাদেরই স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে গত ২৩, ২৪ ও ২৫শে জানুয়ারী পর্যন্ত চলে শিশু উৎসব ও হস্তশিল্প সম্মেলন। যার আয়োজন করেছে মধ্যমগ্রামের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। ২৩শে জানুয়ারী নেতাজীর ১২৪তম জন্মদিনের দিন সাড়ে ৮টা নাগাদ মধ্যমগ্রামের জনকল্যান ময়দানে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তাঁরা।

অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এইচ এন এক্সপ্রেস ডিজিটাল মিডিয়ার প্রতিনিধিরা। এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত সাংবাদিকদের কোভিড যোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তিনদিন ব্যাপি এই অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্য অধ্যয়নের উপাদান দান, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেন তাঁরা। “আমরা সবাই এক্সটেন্ডেট” এর সম্পাদক সৃঞ্জয় সোম ও ফোনিক্স এর সেক্রেটারি বিক্রমজিৎ দের কাছ থেকে শিশুমেলার করার কারন জানতে চাওয়া হয়।

তাতে তাঁরা বলেন, একটি পত্রিকার বিক্রির টাকাতেই ৫০ জন বাচ্চাদেরকে নিয়ে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পথ চলা শুরু। পরবর্তী কালে বাচ্চাদের সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জন হয়েছে। প্রায় দেড় বছরের পুরনো এই সংগঠন দুটি বাংলার হস্তশিল্প এর প্রসার ঘটাতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রেরণাতে বিভিন্ন ধরনের মেলা হয়ে থাকে, যার অনেকাংশেই রাজ্য সরকার অর্থনৈতিক সাহায্য করে থাকেন। কিন্তু “ফোনিক্স ও “আমরা সবাই এক্সটেন্ডেট” এর সদস্য এমন কোনো সাহায্য নেন না বলে তাঁরা এইচ এন এক্সপ্রেসের প্রতিনিধিকে জানান।

তাই এই পুরো মেলা প্রাঙ্গনটি হস্তশিল্প দিয়ে সাজানো ছিল। যার পুরোটাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর সদস্যদের হাতে তৈরি। “আমরা সবাই এক্সটেন্ডেট” এর সম্পাদক সৃঞ্জয় সোম ও ফোনিক্স এর সেক্রেটারি বিক্রমজিৎ দে বয়েসে অনেকটাই নবীন। কিন্তু এতো ছোটো বয়েসেও যে তাঁরা জনকল্যানমূলক কাজ করে চলছেন তা যে নব প্রজন্মকে অনুপ্রানিত করবে তা বলাই বাহুল্য। যেখানে বর্তমান যুগে টিনএজ ধাপগুলি বেশি মাত্রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা নেশায় আকৃষ্ট হবার ফলে অবসাদ ও আত্মহত্যার মতো ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। সেখানে এই ধরনের একটি পদক্ষেপ যথেষ্ট প্রশংসনীয়।

Advertisements

Leave a Reply