লকডাউন ঘোষিত কনটেনমেন্ট জোনের মানুষ মাস্ক না পরেই দোকানপাট খুলে আনলকের রূপ দিচ্ছেন, ব্যর্থ ও অপদার্থ সরকার; মন্তব্য বিরোধীদের
HnExpress ২০শে জুলাই, ঝুম্পা দেবনাথ, কলকাতা ঃ প্রতিদিন দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণের রেকর্ড। স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানা গেছে, ২৪ ঘন্টায় একদিনে আক্রান্ত ৩২ হাজার ৬৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬০৬ জনের। দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৭৬ জন। রাজ্যেও কোভিডের থাবায় মৃত্যু হাজার ছুঁই ছুঁই এবং রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮৯ জন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কড়া লকডাউন ঘোষিত কনটেনমেন্ট জোনের মানুষ মাস্ক না পড়েই দোকানপাট খুলে আনলকের রূপ দিচ্ছেন, ফলে সরকারকে ব্যর্থ ও অপদার্থ বলে তিরস্কার বিরোধীদের।
এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছেন শীতের সময় ভারতে করোনার সংক্রমণ থাকতে পারে শীর্ষে। করোনা সংক্রান্ত নানা তথ্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের সকল প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই মাস্ক না পরে অসর্তকতার পরিচয় দিচ্ছেন অনেকেই। ফলত দিন দিন করোনা ভাইরাস সকলেরই শরীরে অজান্তেই প্রবেশ করছে। করোনাকে রুখতে রাজ্যের সব সংক্রমিত এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করে কড়া লকডাউন ঘোষণা করছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার সাথে সাথে উওর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী , মালদা, শিলিগুড়ি সহ একাধিক জেলার করোনা সংক্রমিত একাধিক এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে লকডাউনের নিয়মানুযায়ী, আপাতকালীন পরিস্থিতি ছাড়া কোন ব্যক্তিই বাইরে বেরোতে পারবেন না এবং পুলিশ সেই কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে থাকা মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দেবেন। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে ধরা পড়ছে তার উল্টো চিত্রই। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই ঘেরা ব্যারিকেট টপকে বেড়িয়ে পড়ছেন হেথায় হোথায়।
আবার কেউ কেউ মাস্ক ব্যবহার করছেন, কিন্তু তা নাক বা মুখ চাপা দিয়ে নয়, তা থুতনিতে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখছেন। এমত পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে আবার বিরোধী মহলের অন্যতম বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষের সুরে বলেন, কনটেনমেন্ট জোনগুলির তালিকা দিচ্ছেন পুলিশ সুপার বা জেলাশাসক। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই তালিকা খারিজ করে নিজের মতো মনগড়া তালিকা বানিয়ে দিচ্ছেন, যার কোন বিশেষজ্ঞতা নেই। তিনি এদিন আরও বললেন, বাংলার মানুষ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, মশা -মাছি নিয়েই বড়ো হয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “দিদিমনির রাজত্বে মানুষ শুয়োরের মাংসও খেয়েছেন,” কিন্তু শুধু মাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার জন্য এই হয়রানি সহ্য করছে বাংলার আপামর মানুষ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেও বলেন, “লক-আনলক সবই ব্যর্থ, মোদি-মমতা সবই ব্যর্থ”।