কৃষক আন্দোলন রুখতে সুপারি কিলার নিয়োগের পাশাপাশি জলকামান-কাঁদানে গ্যাস ছুড়েও ব্যর্থ মোদি সরকার
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি ঃ পরিস্থিতির চাপে পরে নব্য কৃষক আইনকে দেড় বছরের জন্য স্থগিত রেখেও ২৬শে জানুয়ারী কৃষক আন্দোলনকে আটকাতে ব্যর্থ হলো মোদি সরকার। ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই কৃষকরূপী প্রজাদের হাতেই আরও একবার মুখ পোড়ালো কেন্দ্রীয় সরকার। তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে এদিন ট্যাক্টর মিছিল করার কথা অনেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রতিবাদী কৃষকদের সংগঠন। সেই কৃষক আন্দোলনকে রুখতে সুপারি কিলার নিয়োগের পাশাপাশি জলকামান-কাঁদানে গ্যাস ছুড়েও ব্যর্থ মোদি সরকার।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, পুলিশ তাঁদেরকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই মিছিলের অনুমতি দেয় এবং তাদের একটি নির্দিষ্ট পথ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ২৬শে জানুয়ারী সকাল বেলাতেই কয়েক হাজার কৃষক ছটি সীমান্ত ব্যাবহার করে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশ করে। এর কয়েকদিন আগেই অর্থাৎ শুক্রবার রাতে এক মুখােশধারী ব্যক্তিকে সংবাদমাধ্যম এর সামনে এনে হাজির করেন কৃষকরা। এক কৃষক নেতা কুলবন্ত সিং সিন্ধু বলেন, এদিন ট্র্যাক্টর মিছিল চলাকালীনই চার কৃষক নেতার উপর গুলি চালানাের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তাতে যদি আন্দলন আটকানো যায় এবং এই কথা ফাঁস করলে তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। আর এছাড়াও কৃষকদের হাতে ধরা পড়া ওই মুখােশধারী ব্যক্তি ও সতীর্থদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক দুজন মহিলাকে নিয়ে মােট ১০ জনের একটি দল তৈরি করা হয়ে ছিল। মুখোশধারীর দল ছাড়াও এরকম আরও বেশ কয়েকটি দল তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা যায়। তাঁরা পুলিশের বেশে লাঠি চালিয়ে মিছিল থামানাের চেষ্টা করবে এবং তাতে কাজ না হলে, আকাশে ফায়ারিং করবে দলগুলি।
তখনই কৃষকদের ভিড়ে মিশে থাকা অন্যান্যরা কৃষকদের পিছন থেকে গুলি চালাবে। তাতে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদেরও মনে হবে যে কৃষকরাই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। ফলে দিল্লি পুলিশ ব্যাবস্থা নেবে। পুলিশের উপরে গুলি চালানোয় দোষ পরবে কৃষকদের উপরেই। ফলত ২৬শে জানুয়ারীর অনুষ্ঠান এর লাইভ যখন গোটা বিশ্ব টিভিতে দেখতে ব্যাস্ত তখন এই সাজানো ঘটনার দায়ে দোষী সাজানো হবে কৃষকদেরকেই, এমনটাই বিশ্বস্ত সুত্রের খবর।
আরও জানা গেছে যে, ওই মুখােশধারীর কথা অনুযায়ী দিল্লির দুটি জায়গা থেকে তাদের অস্ত্র সরবরাহের ব্যাবস্থা করা হয়। লক্ষ্য একটাই, মঞ্চে উপস্থিত যেকোন চার কৃষক নেতাদের গুলি করে মেরে ফেলতে হবে। সেই জন্য তাদের ছবিও দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। দলটিতে থাকবে পুলিশ ইউনিফর্ম পড়া কিছু ব্যাক্তি এবং বাকিরা বুট, পাগড়ি পরা সাধারন কৃষক। এই কাজের জন্য মাথাপিছু প্রত্যেককে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিলো বলে সুত্রের খবর। শুধুমাত্র অর্থের জন্যই তারা এই কাজ করতে রাজি হয়েছিল বলে জানা যায়।
আপাতদৃষ্টিতে বিচার করলে মনে হতেই পারে কৃষকদের খুন করতে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। যদিও বা তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। জানা যায়, কৃষক মিছিলকে আটকাতে পুলিশ যে ব্যারিকেড বানিয়ে ছিল তা ভেঙে দিয়ে এগিয়ে যায় মিছিল। লাঠি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে, জলকামান ব্যবহার করেও কৃষকদের আটকাতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। এই কৃষক আন্দলনকে সমর্থন করেছে বিদেশের বহু মানুষ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিগন।
তবু কেন্দ্রিয় সরকারের গোয়ার্তুমিতে নাজেহাল কৃষকের দল। অন্যদিকে, এই কারণনশত বিরোধীদল গুলি ২০২১ এর পালাবদলে আশার আলো দেখছে। বাস্তব সত্য এই যে, যে ভাবে কৃষক আন্দলন প্রসারিত হচ্ছে কৃষিবিল মকুব না হলে ২১-এ পালাবদলের পথেই হাঁটবে গোটা ভারতবর্ষ।