December 14, 2024

উলুবেড়িয়া উপ-সংশোধনাগারে বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ করা হলো

0
Img 20200328 Wa0005.jpg
Advertisements

HnExpress ২৮শে, অভিজিৎ হাজরা, হাওড়া : উলুবেড়িয়া উপ-সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাস এর সতর্কতা অবলম্বনে বন্দীদের সঙ্গে বাড়ির লোকেদের দেখা করা নিষিদ্ধ করে দিল। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, ৯৪২ জন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গেই আক্রান্ত ১৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। যদিও করোনা আক্রান্ত ঠেকাতে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তবুও কিছু কিছু জায়গায় মানুষ সচেতন নয় মোটেও।

সরকারি বিধি নিষেধকে উপেক্ষা করে বিনা প্রয়োজনেও মিথ্যাকে আশ্রয় করে বহু মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বিশেষ করে এক জায়গায় বেশি জমায়েত না হতে অনুরোধ করা হচ্ছে, কিন্তু কে শোনে কার কথা। চৈত্র মাসে হাওড়া জেলার বিভিন্ন শিবমন্দিরে সন্ন্যাসী হয়। নীলষষ্ঠী উপলক্ষে মেলাও বসে। চৈত্র সংক্রান্তিতে সন্ন্যাসীদের কাঁটা ঝাঁপ, বঁটি ঝাঁপ, বান ফোঁড়া, পেটে বঁড়শি ফোঁড়া সহ অন্যান্য কৃচ্ছ সাধনে শিবকে তুষ্ট করা হয়।

এই উপলক্ষে শিবমন্দির গুলিতে মেলাও বসে। কিন্তু এই বৎসর করোনার পরিস্থিতির কারণে প্রায় হাওড়া জেলার সমস্ত শিবমন্দিরেই এই অনুষ্ঠান গুলি হবে না বলে জানা গেছে।
এবারে করোনা সতর্কতায় বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে উলুবেড়িয়া উপ-সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। আগে উলুবেড়িয়ার উপ- সংশোধনাগারে থাকা বিচারাধীন বন্দীদের সঙ্গে নিয়ম মেনে সাক্ষাৎ করতে পারতেন বন্দীদের আত্মীয়রা।

তাই বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার কারণে আপাতত ১৬ই এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত বিচারাধীন বন্দীদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়দের সাক্ষাৎ সম্পুর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংশোধনাগার সূত্রের খবর, বিচারাধীন বন্দীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আত্মীয়রা কর্তৃপক্ষের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবে। অযথা মোবাইল ফোনে ফোন করা রুখতে মোবাইল ফোন নম্বরটা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় নি। অত্যন্ত গোপনে শুধুমাত্র বিচারাধীন বন্দীদের আত্মীয়দেরই দেওয়া হয়েছে।

আর তাদের বলা হয়েছে এই নাম্বার টা যেন অপ্রয়োজনে কাউকে দেওয়া না হয়। শুধু মাত্র তারাই যেন তাদের বিচারাধীন আত্মীয়দের খবর ফোন করে জানেন। উলুবেড়িয়ার উপ- সংশোধনাগারের এই নিয়ম সম্পর্কে সংশোধনাগারের এক আধিকারীক জানান, করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ ঠেকাতে উলুবেড়িয়ার উপ-সংশোধনাগারে বর্তমানে ২২৬ জন বিচারাধীন বন্দীর প্রতি সর্বদা নজরদারি করা হচ্ছে। প্রত্যহ তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ম মেনে করা হচ্ছে। সেইসাথে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও আছে।

এছাড়াও সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপ- সংশোধনাগারের ভিতরে একটি বিশেষ ওয়ার্ড তৈরী করা হয়েছে, যাতে কোনো বিচারাধীন বন্দীর শারীরিক কোনো পরিবর্তন হলে তাকে সেই ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা যায়। করোনা পরিস্থিতির জন্য আদালত বন্ধ থাকায় অনেক বিচিরাধীন বন্দীর আত্মীয়রা তাদের পরিবারের সদস্যের জামিনও করাতে পারছেন না।

 

Advertisements

Leave a Reply