March 21, 2025

BigUpdate রাস্তাঘাটে পান-থুতু-গুটকার পিক, এর বিরুদ্ধে কড়া আইন প্রনয়ণের নির্দেশ মমতার

0
Advertisements

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : রাস্তাঘাটে যত্রতত্র কফ, থুতু, পান, গুটকার পিক; কলকাতার সেতু, উড়ালপুলের দেওয়াল পর্যন্ত বাদ যায়নি তা থেকে। নীল-সাদা দেওয়াল খয়েরি হয়ে গিয়েছে পান-গুটকার পিক ফেলে ফেলে। স্ব-চোখে নিজে দেখে এসে তীব্র অসন্তুষ্ট ও ক্রুদ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর বিরুদ্ধে কড়া আইন আনতে নির্দেশ দিলেন তিনি। গুটখার পিক ফেললে হাজার টাকা ফাইন তো আছেই, সাথে ‘চাই আরও কড়া আইন’, বললেন মমতা। যথেষ্ট কড়া হাতেই এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর তিনি।

এমনিতে পথঘাটে থুতু বা পানের পিক ফেলা নিয়ে আইন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু সম্প্রতি এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটাই চটেছেন, যে তিনি মনে করছেন, এই আইন এখন আর যথেষ্ট নয়। চাই আরও কড়া আইন, দিতে হবে শাস্তি (Punishment)। তবেই বদলাতে পারে এই ছবি। গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর আইন আনা যায় কিনা এবং জরিমানার অঙ্ক বাড়ানো সম্ভব কিনা, তা পর্যালোচনা করতে হবে।

সেইসঙ্গে, মুখ্যসচিবকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শহর কলকাতার যত্রতত্র গুটখা বা পানের পিক ফেলে নোংরা করার দৃশ্য কিন্তু একেবারেই নতুন নয় এ রাজ্যে। এমনকি বিভিন্ন সরকারি অফিসের দেওয়ালেও এই নোংরা করার ছাপ দেখা যায় যখন-তখন। শুধু তাই নয়, পথেঘাটে প্রস্রাব করার মত নোংরা ঘটনাও আকছার চোখে পড়ে। ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু পথচারী, সাথে তা মহিলা, শিশুর কাছে দৃশ্য দূষণ তো বটেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই বিষয়ে ২০০১ সালেই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোহিবিশন অফ স্মোকিং অ্যান্ড স্পিটিং অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ হেল্থ অফ নন-স্মোকারস অ্যান্ড মাইনর অ্যাক্ট, ২০০১’ অনুসারে, প্রথমবার প্রকাশ্যে থুতু বা গুটখার পিক ফেললে ১,০০০ টাকা জরিমানা হবে। দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে জরিমানার পরিমাণ ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাইছেন যে, এই আইন এবার আরও কঠোর থেকে কঠোরতম করা হোক এবং প্রয়োগে কোনওরকম ঢিলেমি না থাকুক। শহরের পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষা করতে কঠোর পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন তিনি। এখন দেখার বিষয়, নতুন করে এই সমস্যা নিয়ে কী ধরনের আইনি সংশোধন বা জরিমানার হার বাড়ানো হয় এবং প্রশাসন কীভাবে তা বাস্তবায়ন করে তুলতে সক্ষম হন।

Advertisements

Leave a Reply