মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াস ঃ “স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি, চাপের মুখে বেসরকারি হাসপাতাল গুলো

HnExpress ১০ই অগাস্ট, অরুণ কুমার, কলকাতা ঃ বেসরকারি হাসপাতালের বাড়বাড়ন্ত কড়া হাতে দমন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির শয্যা না পেয়ে অনেককেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। কিন্তু রোগী সুস্থ হয়ে যখন বাড়ি ফিরছেন তখন দেখা যাচ্ছে ওষুধের খরচ কয়েক’শ টাকা হলেও বিল কয়েক লাখ। এবার এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নতুন প্রয়াস, “স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করে, ফলে রীতিমতো চাপের মুখে বেসরকারি হাসপাতাল গুলো।
এদিন রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, রোগী ভর্তি হওয়ার আগে খরচ জানাতে হবে পরিবারকে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় চাপে পড়ে গেছে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলো। শনিবার সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘোষনা করলেন মমতা ব্যানার্জি। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে থেকে এই নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে করোনার চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকার বেশি অগ্রিম নিতে পারবে না বেসরকারি হাসপাতাল গুলি।
পাশাপাশি আগে থেকে জানাতে হবে চিকিৎসার আনুমানিক খরচও। যদিও এখনো এ দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর ওষুধ বা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারই হয়ে ওঠেনি, কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসার খবচ এর তালিকা লাখের উপরে, বিল দিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য ও দেশে প্রাইভেট হাসপাতালের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার এই অভিযোগ বহুদিনের। বার বার অভিযোগ উঠেছে রোগী ভর্তি নেওয়ার পর ইচ্ছে মতো বিলের অঙ্ক বাড়িয়ে দেয় প্রাইভেট হাসপাতাল গুলি।

বহু ক্ষেত্রে চিকিৎসা করাতে এসে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই অভিযোগ যেন আরও কয়েকগুণ বেড়েছে।
তবে এই নতুন নির্দেশিকা থেকে জানা গিয়েছে, মোট খরচের ২০ শতাংশের বেশি নেওয়া যাবে না অগ্রিম। রোগীর পরিবারের কাছে সেই মুহুর্তে টাকা না থাকলে তাঁকে ১২ ঘন্টা সময় দিতে হবে বলেও জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
এরই পাশাপাশি কোনো পরীক্ষা যদি বার বার করতে হয়ে এবং সেই পরীক্ষার খরচবাবদ যদি ২০০০ টাকার বেশী হয় তবে হাসপাতালকে তা আগে থেকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে রোগীর পরিবারের সদস্যদের। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালের বাড় বাড়ন্ত এবার কড়া হাতে দমন করতে চলেছে রাজ্য সরকার।