রায়দিঘির বুথ গুলিতে লম্বা লাইন ভোটারদের, নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন সিপিআইএম প্রার্থী কান্তি গাঙ্গুলী
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, জেলা ঃ বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে দিয়েও শেষ হয়েছে বাংলার দু’দফার মোট ৬০টি আসনের বিধানসভা নির্বাচন। গতকাল তৃতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া – এই তিন জেলার মোট ৩১টি আসনে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহন সম্পন্ন হল। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বেশ শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়।
সুত্রের খবর, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতেও রায়দিঘিতে ভোটদানের ক্ষেত্রে তেমন কোন বাধা পড়ল না। বিধানসভার বিভিন্ন বুথ গুলিতে এদিন সকাল থেকেই লক্ষ্য করা গিয়েছে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত লম্বা লাইন। দীর্ঘদিনের বাম দুর্গ হিসাবে পরিচিত ছিল রায়দিঘির এই বিধানসভায়। বিধায়ক ছিলেন বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি। এবারের বিধানসভা ভোটে তিনিই বামফ্রন্ট প্রার্থী।
তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডঃ অলোক জলদাতা এবং বিজেপির শান্তনু বাপুলি। বাম প্রার্থী কান্তি গাঙ্গুলি জানান , “আমফানে দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যে শিল্প নেই, কর্মসংস্থান নেই”। মানুষ এবার জোটের পক্ষেই রায় দেবেন। করোনা পরিস্থিতি চলতে থাকায় বিধানসভার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র গুলিতে ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার, মাস্কের ব্যবস্থা করা হয় এদিন। ভোটারদের থার্মাল স্ক্যানিংও করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
নির্বাচন সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অলোক জলদাতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধায় এর উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতে সাধারণ মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবে”। দীর্ঘদিনের বামদুর্গ হিসাবে পরিচিত থাকলেও গত ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে রায়দিঘি হাতছাড়া হয় বামেদের। দীর্ঘদিন এলাকায় দলীয় সংগঠনকে পরিচালনা করার পরেও তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে টিকিট পাননি শান্তনু বাপুলি। ফলে তিনি দল বদলের ট্রেন্ড বজায় রেখে বিজেপিতে যোগ দেন।
অন্যদিকে শান্তনু বাপুলির সাংগঠনিক ক্ষমতা যাচাই করে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেন বিজেপি নেতৃত্ব। এখন দেখার বিষয় হলো, বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখাবেন কান্তি গাঙ্গুলি নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অলোক বাবুকে নির্বাচিত করবেন রায়দিঘিবাসী? তার উত্তর পেতে হলে ২রা মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।