নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বাম পলিটব্যুরো ও সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি সূর্যকান্ত মিশ্র
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ শুরু হয়ে গেছে ভোট। রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে সমানতালে ব্যাস্ত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। আমজনতার কাছে সঠিক সংবাদ প্রেরন করাই যাদের আশু কর্তব্য। এই সংবাদ মাধ্যমের কলকাতাতে অবস্থিত প্রেস ক্লাবে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন বাম পলিটব্যুরো ও সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি সূর্যকান্ত মিশ্র।
তিনি একজন বামপন্থী রাজনীতিবিদ। ২০১১ সালের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান হলেও তিনি তার আসন ধরে রাখতে সক্ষম হন। বাম আমলে ইনি গ্রাম ও গ্রামীণ উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। ২০১১ সালের নির্বাচনের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। এদিন বৈঠকে স্বাভাবিক নিয়মানুসারেই সরাসরি বিজেপি ও তৃণমূলকে দোষারোপ করেন।
তিনি বলেন, বিজেপি ও তৃণমূল এই দুটি দলই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। এই দুটি রাজনৈতিক দলের রাজত্বে মানুষ তার মৌলিক আধিকার গুলো হারাচ্ছে। মানুষের মূল্য বোধে ক্রমশ আঘাত হানছে তাঁরা। এর আগে বাম ও সংযুক্ত মোর্চার সমাবেশেও বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলে ছিলেন ‘তৃণমূল-বিজেপি তরজা গান করছে। ব্রিগেডের প্রচার নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই সমাবেশ ঐতিহাসিক। এরা মানুষকে শোষণ করছে। কোনও উস্কানিতে কান দিয়ে লাভ নেই। আমরা কাজ চাই।
তিনি আরও বললেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দিদিকে বলো, তারপর পাড়ায় পাড়ায় সমাধান, অনেক কিছুই করলেন। কিন্তু, এমন সমাধান করলেন যে পুরো দলটাই বিজেপি হয়ে গেল।’ এদিন তিনি ইস্তেহার প্রসঙ্গে বলেন তৃতীয় দফা অবধি যা ভোট হয়েছে তাতে আমরা সঠিক লক্ষেই এগোচ্ছি, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের উপরে কোনো ভরসা নেই। এদের ভূমিকা পালন নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল উভয়কেই সহায়তা করছে। তা না হলে কিভাবে ইভিএম ও ভি ভি প্যাড তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাওয়া যায়?
এরই পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম তার নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে। আমাদের নীতি কর্ম সংস্থান, খাদ্য, নিরাপত্তা, এসব ওপর আমরা লড়াই করছি। তাই মানুষ ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে আমাদেরকেই গ্রহণ করবে। রাজ্যে বামেদের মিছিল, মিটিংয়ে কমবেশি লোক হলেও নির্বাচনী বুথে বুথে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইতে বামেরা এঁটে উঠতে পারবে কিনা তা পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই প্রশ্ন তৈরি করেছে আমজনতার মনে। বুথে বুথে বামেরা এজেন্ট রাখতে পারবে কিনা এই প্রশ্নও ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে।
তাই ব্রিগেড সম্পূর্ণ ভরে গেলেও বুথে লড়াই হয় না জেনেই সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘তৃণমূল কি শান্তিপূর্ণ ভোট হতে দেবে? এই প্রশ্ন, আমজনতার। ভোট দিতে বাধা দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তবে ব্রিগেডের জনসমুদ্র চেতাবনি দিচ্ছে, ভোট দিতে বাধা দিলে সেখানে প্রতিরোধের আগুন জ্বলে উঠবে।’