বিকাল গড়িয়ে গেলো, অথচ ভাঙছে না ঘুম! মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর শেষ পর্যন্ত এমন পরিণতি কেন?

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি : বিকাল গড়িয়ে গেলো, অথচ ভাঙছে না ঘুম! মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর শেষ পর্যন্ত এই করুণ পরিণতি মানতেই পারছে না পরিবার থেকে প্রতিবেশি কেউই। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। মেয়েকে নিয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটলেও শেষ রক্ষা হলো না। ওই ঘুম যে আর কোনওদিনই ভাঙবে না জানিয়ে দিলেন ডাক্তার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। মৃতার নাম অর্পিতা মণ্ডল। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল সে। বাড়ি শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি (Siliguri Naxalbadi) মেচবস্তি এলাকায়। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিজের এলাকারই এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল অর্পিতা। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় ডাকাডাকি করে তার বান্ধবী। কিন্তু, কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খবর দেওয়া হয় কিশোরীর বাড়িতে। ছুটে আসেন মা। দরজা ভেঙে মেয়ের নিথর দেহকে সকলে মিলে তড়িঘড়ি নিয়ে যায় নকশালবাড়ি হাসপাতালে (Siliguri Naxalbadi Hospital)। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে, ডাক্তারেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের বাড়ি থাকতে অর্পিতা বন্ধুর বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিল কেন? তা নিয়ে বাড়ির লোক বা বন্ধু কেউই কিছুই জানায়নি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, চলছে জিজ্ঞাসাবদ।
ময়নাতদন্তের (Postmortem) জন্য তার মৃতদেহটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি নন্দপ্রসাদ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলো অর্পিতা। এবার তাঁর সিট পড়েছিল হাতিঘিসার পরীক্ষা কেন্দ্রে। কিন্তু, আচমকা কীভাবে যে মেয়ের মৃত্যু হলো তা বুঝতে পারছে না পরিবারের লোকজন ও পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে যথেষ্ট ধন্দে রয়েছে পুলিশ। কি ভাবে মৃত্যু হলো এবং কেন এই চরম পরিণতি সদ্য প্রস্ফুটিত কিশোরীর! এটা কি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত খুন? এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টই একমাত্র দিশা দেখাতে পারে এই মৃত্যুর রহস্যের।