নিউ ব্যারাকপুরের পৌর প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদারের উপস্থিতিতে অনগ্রসর শ্রেণীর সম্প্রদায়ের মানুষদের শংসাপত্র প্রদান
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, নিউব্যারাকপুর ঃ দমদম থেকে বারাসাতগামী ট্রেন পথে একটি ছোট্ট স্টেশন নিউব্যারাকপুর। মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন সর্বস্তরে, সব অঞ্চলে প্রসারিত। তার মধ্যে নিউব্যারাকপুরও বাদ নয়। একদিকে পালাবদলের হিড়িকে দলবদলের রাজনীতি নিয়ে যখন ব্যস্ত কিছু নেতা, ঠিক অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জি তাঁর সহযোদ্ধাদের নিয়ে মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। বাংলার রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, দুয়ারে দুয়ারে সরকার, চোখের আলো, স্বাস্থ্যসাথীর মতো কিছু প্রকল্প মানুষের কল্যাণে এগিয়ে এসেছে।
এমনই একটি কল্যানকর কাজ গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারিতে নিউ ব্যারাকপুরে অনুষ্ঠিত হয়। মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরনায় পশ্চিমবাংলার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে নিউবারাকপুর পৌরসভার সহযােগিতায় এদিন তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণীর সম্প্রদায়ের মানুষদের শংসাপত্র প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাম্রাজ্যের সহযোদ্ধা নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদার, উপ পৌর প্রশাসক মিহির দে ও তৃণমূল দলনেতা প্রবীর সাহা প্রমুখ।
এদিন তপশিলী উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণীর সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে পৌর প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদার জাতি শংসাপত্র তুলে দেন। তিনি বলেন, “এস টি, এস সি এবং ওবিসি ভুক্ত প্রায় ২২৪ জন এর হাতে আজ জাতি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। ফোনের মাধ্যমে তাদের আগেই জানানো হয়েছিল যে, তাদের শংসাপত্র প্রদান করা হবে। প্রায় সবাই এসেছিলেন এই শংসাপত্র নিতে। ডিএম অফিসের উচ্চ আধিকারিকরা এই শংসাপত্র নিয়ে এসেছিলেন এবং তৃণমূল সহকর্মীদের সহায়তায় এই শংসাপত্র দেওয়া হয়।
“দুয়ারে সরকার” প্রকল্প চলাকালীন যারা এই শংসাপত্র নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করে ছিলেন তারা সকলেই পেয়ে যাবেন এবং এই কাজ আগামী দিনেও চলবে বলে তিনি জানান৷ তিনি আরও বলেন যে, বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর যে প্রকল্প গুলি চলছে মানুষ সেই প্রকল্পগুলির সুবিধা যাতে পায় তার জন্যই কাজ করে চলেছি আমরা”। সংবাদমাধ্যম এর তরফ থেকে পৌর প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, বাজেট অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছে বছরে দুইবার “দুয়ারে সরকার” ও “পাড়ায় সমাধান” অনুষ্ঠিত করতে হবে। আর এই ব্যাপারে নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভা কতোটা প্রস্তুত?
এই প্রসঙ্গে তৃপ্তি মজুমদার বলেন যে, “আগে থেকেই জায়গা ঠিক করা ছিল। কাজগুলি স্কুলে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ১১ তারিখ থেকে স্কুল খুলে যাবার কারনে কাজগুলি ওই জায়গাতে হলেও কিছু অনুষ্ঠান বাড়িতেও করা হবে”। কথা প্রসঙ্গে তৃপ্তি মজুমদার আরও বলেন যে স্বাস্থ্য সাথীর এই কার্ড এলাকার ৫০ শতাংশেরও বেশী মানুষ পেয়ে গেছেন। এর আগেও ২০২০’র শারদীয়ার প্রাক্কালে নিউব্যারাকপুরের পৌর প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগে দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র উপহারস্বরূপ প্রদান করেন।
২১ এর ভোটের আগে মোদি সরকারের মিথ্যা প্রলভনের ফাঁদে পরে কিছু লোভি নেতৃত্ব যতই দলবদল করে বাংলার তৃণমূল সরকারকে ব্যাতিব্যস্ত করুক না কেন, তৃপ্তি মজুমদারদের মতো নেতৃত্বদের বলে বলীয়ান হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি তাঁর সোনার বাংলাকে বিজেপির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে বলেই আশা করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এছাড়াও নিউ ব্যারাকপুরের পৌর প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদারের উপস্থিতিতে নতুন দমকল ভবনের উদ্বোধন হল গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিকেলে। সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ১৮তম এবং রাজ্যে ১৫৩ তম নিউ বারাকপুরে দমকলের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য অগ্নিনির্বাপণ দপ্তরের মহানির্দেশক শ্রী জগমোহন, দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ কুমার আগরওয়াল।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, জেলার অধিকর্তা দেবতনু বসু, ডিআইসি অভিজিৎ পান্ডে, নিউ বারাকপুর পুরসভার পৌর প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদার, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য প্রবীর সাহা, উপ পৌর প্রশাসক মিহির দে, কো-অপারেটিভ হোমস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নির্মল বসু প্রমুখ।