সরকারি নিয়মবিধি মেনে চলার দায় কি শুধু সাধারণ মানুষেরই? মন্ত্রীরা কি শুধুই সমালোচনা করে দায় সারবেন নাকি? মন্তব্য বিরোধীদের
HnExpress ৩০শে মে, ঝুম্পা দেবনাথ, কলকাতা ঃ ভারতে করোনার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ার কারনে করোনা এখন ভারতে মহামারী রূপ নিতে শুরু করেছে। এই করোনা থেকে সুরক্ষিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নানা রকম বিধিনিষেধ জারি করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরাই এই নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাছেন বলে দাবি বিরোধীদের। সরকারি নিয়মবিধি মেনে চলার দায় কি শুধু মাত্র সাধারণ মানুষেরই? মন্ত্রীরা কি শুধুমাত্র সমালোচনা করেই দায় সারবেন? মন্তব্য বিরোধীদের।
বিরোধীদের এই মন্তব্য যে উড়িয়ে দেওয়ার নয়, তারই প্রমাণ মেলে কর্ণাটকের মহিলা ও শিশু কল্যান দফতরের বিজেপি মন্ত্রী কমলেশ দান্দার কর্মকান্ডে। দেশজুড়ে যখন লকডাউনের জেরে সরকার সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নিয়ম জারি করেছেন, তখন সেই নিয়মকে গুরুত্ব না দিয়ে কর্ণাটকের বিজেপি মন্ত্রী কমলেশ দান্দা অনেকজনকে সঙ্গে করে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পূজো দেন। আবার বিরোধীরা নিয়ম অমান্যের কথা বলেন কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক পুত্রের বিরুদ্ধেও।
কর্ণাটক রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক পুত্র এই লকডাউনের সময় মুখে মাস্ক না পড়ে ঘোড়ায় চড়ে হাইওয়েতে ঘুরছেন বলে জানা গেছে। আবার এই কর্ণাটকেরই বিজেপি বিধায়ক এস জয়রাম নিজের জন্মদিনে এক সুবিশাল পাটির আয়োজন করেছিলেন। এইরকম ভাবেই আইন অমান্য করেছেন উওরপ্রদেশের বিজেপি নেতা সুধীর সিং। তিনি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেন এবং দিল্লি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি, তিনি স্টেডিয়ামে গিয়ে মাস্ক ছাড়াই ক্রিকেট খেলেছেন বলে দাবি বিরোধীদের।
সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র দেশ! এইরকম নানা উপমাকে হাতিয়ার করে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের একাংশের দাবি, ভারী মজার মুল্লুক এই দেশ। যাঁরা এই নিয়ম করেন, তাঁরা কি শুধুই নিয়ম করেই দায় সারবেন? এই সময়ে নেতা, মন্ত্রীরা যে এই লকডাউন না মেনে আনন্দ উৎসবে মেতেছেন তাহলে এর প্রভাবে কোন সাধারণ মানুষ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তার দায় নেবেন কে?
বিরোধীরা আবার সমালোচনার সুর সপ্তমে রেখে বলছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া যে কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে সোজা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান, এটা কি আইন অমান্য নয়?
পরিযায়ী শ্রমিকরা অসহায়, স্বহায়সম্বলহীন তাই জন্য তাদেরকেই কি শুধু কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে? কারন তারা অতি সাধারণ মানুষ বলে? তাঁরা আমলা-মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজন নন বলে? করোনা তো গরিব-বড়োলোক, মন্ত্রী-সাধারণ মানুষ বিচার করে হয় না, দেশের সরকারের শীর্ষে বসে থাকা মন্ত্রীরাই যদি এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে করোনা থেকে মানুষকে সুরক্ষিত রাখার আইন যদি অমান্যই করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভাববেন কারা? এমনই প্রশ্নের তীর বিরোধীদের পক্ষ থেকে—