December 11, 2024

সোজাসাপ্টা কথা : ভারত ক্রমশ সামরিকভাবে এই উপমহাদেশে শক্তিশালী এবং চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে

0
Hqdefault1.jpg
Advertisements

HnExpress ২০শে জুন, অরুণ কুমার, সোজাসাপ্টা কথা ঃ চীনা প্রশাসন ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলছে টানাপোড়েন, যার বহিঃ প্রকাশ লাদাখে ভারত ও চীন সীমান্তের সংঘর্ষ। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে পেরেছি, মূলত ভারত ক্রমশ সামরিক দিক থেকে এই উপমহাদেশে শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে। আর এটা বিশ্বের বিভিন্ন সামরিক মহলের কাছে অজানা নয়।

আগের পর্বে যেটা বলা হয়েছিল যে, চীনা সেনাবাহিনী ও চীনা প্রশাসন একটু আত্ম অহমিকা থাকার করার ফলে ভারতকে বরাবরই একটু অন্যভাবে দেখে এসেছে এসেছে। কিন্তু মূল বিষয়টি হলো ভারত ক্রমশই নিজেকে শক্তিশালী করেছে সামরিক দিক থেকে এবং সেটা স্থল বিভাগের বিমান বাহিনী এবং জল বিভাগের নৌবাহিনী এক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনা সেনাবাহিনী ও চীনা প্রশাসনের কাছে। আজ এ বিষয়ে নিয়ে গভীরে যাওয়া যাক।

চীন ভারতের সঙ্গে আর কোনও বিবাদ চায় না। গত সোমবারের ‘রক্তক্ষয়ী’ সংঘর্ষের পর যদিও সুর নরম করেছে বেজিং। যদিও চীনের দাবি, ভারতীয় সেনারা অন্যায়ভাবে চীনের সীমানায় প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল বলেই সোমবার রাতে দুই দেশের সংঘর্ষ হয়েছে। নাহলে, বেজিং এখনও ভারতের সঙ্গে আলোচনার পক্ষেই। সাড়ে চার দশক পর সোমবার রাতে ফের চিন সীমান্তে রক্ত ঝরেছে ভারতীয় জওয়ানদের।

এখানে উল্লেখ করতেই হয় যে, লাদাখের গলওয়ান ঘাঁটিতে হওয়া ভারত-চীন সেনাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জওয়ান সুরেন্দ্র সিং আহত হন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন লাদাখের সেনা হাসপাতালে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে তাঁর জ্ঞান ফেরে। তারপরেই তিনি সেদিন রাতের ইন্দো-চীন যুদ্ধের গোটা ঘটনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। এমনকি চীনের সমস্ত ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস করলেন তিনি।

চীনের ধূর্তামি প্রসঙ্গ টেনে এই আহত সেনা জওয়ান সুরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, গলওয়ান ঘাঁটি থেকে বের হওয়া নদীতেই হঠাৎ করে ভারতীয় সেনাদের ওপর চীনা সেনারা হামলা করে। ৪ থেকে ৫ ঘনটা ধরে এই ভয়াবহ রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষ চলতে থাকে নদীর মধ্যেই। এই সংঘর্ষ চলাকালীন ভারতের মাত্র ২০০-এর কাছাকাছি সৈনিক সেখানে ছিলেন, যেখানে চীনের প্রায় ১০০০-এরও বেশি সৈনিক উপস্থিতি ছিল।

ওই নদীতে হাড়-মাংস গলিয়ে দেওয়ার মতো ঠাণ্ডায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যুদ্ধ চলতে থাকে। তিনি জানিয়েছেন, যেখানে এই সমস্ত ঘটনাটি ঘটে সেই নদীর কিনারা দিয়ে মাত্র একজনই বের হতে পারতো সেই কারণেই ভারতীয় সেনারা সেভাবে জবাব দিতে হিমশিম খেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ভারতীয় সেনারাও ভালো ভাবে এই সংঘর্ষের পাল্টা উত্তর দিতে পারতেন। কিন্তু চীনের তরফ থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করে এই হামলা ইচ্ছাকৃতভাবে ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে।

এদিন রাতের ঘটনায় পাঁচ ফুট গভীর জলের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এই অবস্থা থেকেই সুরেন্দ্র সিং-কে অন্যান্য সেনারা এসে বাইরে বের করেন। তখনও পর্যন্ত তাঁর জ্ঞান ছিল, তারপর তিনি জ্ঞান হারান। এই সংঘর্ষের ফলে সুরেন্দ্র সিং-এর হাতে এবং মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লাদাখের সেনা হাসপাতালে। হাসপাতালেই ১২ ঘন্টা পরে তাঁর জ্ঞান ফেরে।

পূর্ব লাদাখের চীন সীমান্তে প্রায় দেড়মাস ধরে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি। প্রায় সাড়ে চার দশক পর গালওয়ান সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের রক্ত ঝরেছে। শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় সেনা।
অথচ, ভারত সরকারের শীর্ষ স্থানীয় কোনও মন্ত্রী এই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী কারও গলাতেই এই ইস্যু নিয়ে আক্রমণাত্মক সুর শোনা যায়নি এখনো পর্যন্ত।

বরং এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল যে, চীনের সেনাবাহিনী ভারতের ভিতরে প্রবেশই করেনি। তবে তারা সকলেই চিন ইস্যুতে নীরব থাকাটাই শ্রেয় বলে মনে করছেন। আর সরকারের এই নীরবতার অপারগতাকে বারবার কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। লাদাখের এখন ঠিক কী পরিস্থিতি, তা নিয়ে সরকারের বিবৃতি দাবি করেছে কংগ্রেস। বুধবারও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন। রাহুলের প্রশ্ন, এভাবে আর কতদিন নীরব থাকবেন মোদি?

প্রায় একই সুরে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিব সেনাও। শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি প্রতিবেশী চীনের নাম করে তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন ভারত শান্তি ও বন্ধুত্বে বিশ্বাসী এবং সেই মর্যাদা রক্ষা করতেই বদ্ধপরিকর। কিন্তু চীন যদি বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস এর মর্যাদার না রাখতে পারে, তাহলে ভারত নিজের সার্বভৌমিকতা রক্ষার প্রশ্নে কোনরকম আপস করবে না। ভারত তার সার্বভৌমিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে সক্ষম ও বদ্ধপরিকর। ‌

কিন্তু তিনি আরও যে কথা বলেছেন, যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতের পূর্ব লাদাখে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল এই ঘটনার পর প্রতি মুহূর্তে নজর রাখার পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি অনুসারে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে একথা নিয়ে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি আরও বলেছেন, চীনকে কূটনৈতিক বার্তালাপ এর মধ্যে দিয়ে ভারতের মনোভাব স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে আজকের এই সর্বদলীয় বৈঠকে।

এদিন কুড়িটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও প্রতিনিধিরা ছিলেন। বিশেষ করে কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সমাজবাদী দলের অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্র এর শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। তারা সকলেই এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি দেশের প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের নীতির প্রতি আস্থা এবং সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

চলুন এবার যাওয়া যাক মূল প্রসঙ্গে। উল্লেখ্য যে এবারে বিরোধীদের চাপের মধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে ১৯ শে জুন শুক্রবার, বিকেল ৫টায় লাদাখ ইস্যুতে সর্বদল বৈঠক হয়েছে। বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে ‌এবারের সর্বদল বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সাধারণত এই ধরনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের বা সংসদের দলনেতাদের ডাকা হয়।

উল্লেখ্য যে, এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের সামনে গোটা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেন, তাঁদের সমর্থন প্রার্থনা করেন এবং আগামী দিনের রণকৌশল নিয়ে পরামর্শ চান। ১৯ জুনের বৈঠকেও তেমনটাই হয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। চীন সরকারের অযাচিত আগ্রাসন রুখতে ভারত সরকার কোন পথে এগোতে চাইছে, আগামী দিনে ভারতের আর কী কী পদক্ষেপ করা উচিৎ?

বিরোধী শিবিরের সঙ্গে সেসব নিয়েই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী একথা জোরালো ভাবে বলার পাশাপাশি দেশের সামরিক বাহিনীকে যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী সভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
এদিকে আরো জানা গিয়েছে, ভারত কোনো ভাবেই মাথা নোয়াতে রাজী নয়, সেটা স্পষ্ট ও পরিস্কার।

তাছাড়া ভারত-চীনের মধ্যে সংঘাত শুরু হতেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার ১২টি অত্যাধুনিক সুখোই ও ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে ভারত। এর জন‌্য বায়ুসেনা ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।বায়ুসেনাকে আরও নতুন করে সাজানোর জন‌্য ইতিমধ্যেই ৩৩টি নতুন কমব‌্যাট এয়ারক্র‌্যাফ্ট কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে থাকবে ১২টি সুখোই, ২১টি মিগ-২৯।

যুদ্ধবিমানগুলি দ্রুত কেনার জন‌্য কেন্দ্রের কাছে বায়ুসেনার তরফে অনুমোদন চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে ভারতীয় বায়ুসেনা এই পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন‌্য অনুরোধ করেছে। বিশেষ সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে এই অনুমোদনের ব‌্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। রাশিয়া থেকে যে ২১টি মিগ-২৯ এবার আনানো হবে তা এই যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে আগের যে চুক্তি হয়েছিল তাতে বদল এনে আরও কিছু সংযোজন হবে।

উল্লেখ্য, সদ্য চীনের সঙ্গে ক্রমে বেড়ে চলা সংঘাতের আবহে বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলকে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে সরকার। এর ফলে নিরাপদ দূরত্ব থেকে চিনা সামরিক ঘাঁটি বা বিমান গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। এদিকে সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ হয় গিয়েছে। এবার সরাসরি যুদ্ধে মিসাইলটিকে ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা।

লাদাখ সীমান্তে এই সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রহ্মসকে সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। ৬২- ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ চলা ভারতীয় সেনাবাহিনী বর্তমানে যথেষ্ট দক্ষ, কৌশলগত দিক থেকে প্রশিক্ষিত আত্মবিশ্বাসী। পাহাড় পার্বত্য অঞ্চলে তীব্র শীতে লড়াই করতে যে পুরোপুরি পারদর্শী তা সিয়াচিন সীমান্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বেজিং সরকার ও তাদের সেনাবাহিনী সেটা খুব ভালো ভাবেই ওয়াকিবহাল। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখ এর সংঘর্ষের ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরে চীন পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে, কিন্তু অপর দিকে দায় ঝাড়ার অভ্যাসে বরাবরই বেজিং প্রথম সারিতে। সে করোনার তদন্ত হোক বা ভারত চীন সীমান্ত দ্বৈরথ। নিজেদের দোষ স্বীকার কোনোদিনই চীন করেনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার ফের চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং ভারতের ওপর হামলার দায় চাপিয়ে দিয়ে দায় সেরেছে। এই বৃহস্পতিবার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে এই অভিয়োগ জানিয়েছেন চীনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া। তাঁর আরও দাবি, ভারতীয় সেনার উস্কানিতেই উত্তপ্ত হয়েছে সীমান্ত। বিনা প্ররোচনায় চীন সীমান্তের দিকে এগিয়ে এসেছিল ভারতসেনা। এদিন হুয়া চুনইং জানান, গালওয়ান ভ্যালিতে ভারতই প্রথম চীনা সেনাদের উত্যক্ত করতে শুরু করে।

এদিন ভারত হামলা চালাতেই নাকি চিনা সেনাও জবাব দেয়। ফলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এমনই দাবি বেজিংয়ের। ভারতের হামলার ফলেই চীন নিজের এত সেনা জওয়ান হারিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাশাপাশি, নয়াদিল্লিকে সতর্ক করেছে বেজিং। নতুন করে যেন সংঘর্ষ না ছড়ায়, তা দেখার দায়িত্ব নাকি ভারতেরই। কোনওভাবেই চীনা সীমান্তে যেন ভারতীয় সেনা পা না রাখে, তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে চীন।

অপরদিকে প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও পড়েছে চীন। তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিমধ্যে চীনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ভারতের পাশে থাকার কথা বলেছেন। ইসরাইলের মতো দেশও ভারতের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছে। দেশের অভ্যন্তরে জনগন, সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে আভ্যন্তরীন চাপান উতর, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সীমান্তে সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা আর ভারতের ক্রমশ সামরিকভাবে শক্তি বৃদ্ধিতে নিঃসন্দেহে বেজিং খুব ভালো অবস্থানে নেই।

Advertisements

Leave a Reply