December 9, 2024

দক্ষিনবঙ্গে ফের বৃষ্টির চোখ রাঙানি, যাই যাই করেও যাচ্ছে না বর্ষা

0
Image Editor Output Image 1272807269 16321455288482155354934746812597.jpg
Advertisements


HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়েদার রিপোর্ট ঃ যাই যাই করেও যাচ্ছে না বর্ষা, দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টির চোখরাঙানি শুরু। আজ শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়ে ছিল হাওয়া অফিস। নিম্নচাপ ও পুবালি হাওয়ার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে আবারও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্ভাবনা। এদিন মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয় যে, দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট আরেকটি নিম্নচাপ দক্ষিণ উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে।

যদিও এই নিম্নচাপটি ক্রমশ তার শক্তি হারিয়ে উত্তরপ্রদেশ এর অভিমুখে ভ্রুকুটি তুলে অগ্রসর হচ্ছে। এর ফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বেশ ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্কবার্তা জারি করেছে মৎস্যজীবীদের জন্য। যারা মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরকে আজকের মধ্যে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সুত্রের খবর, রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকতে পারে। ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে ভারী ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। আজ শনিবার বিকেলের পর থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে বেশকিছু জায়গায়। উপকূলের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। শনিবার হালকা বৃষ্টি হলেও রবি ও সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উপকূলের চার জেলা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এই চার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

কলকাতা, হাওড়া, হুগলি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আজ কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আংশিক মেঘলা ছিল আকাশ। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৫৭ শতাংশ।

Advertisements

Leave a Reply