December 13, 2024

জলপাইগুড়িতে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল এল প্রকাশ্যে

0
Img 20201029 Wa0001.jpg
Advertisements

HnExpress ২৮শে অক্টোবর, অরুণ কুমার, জলপাইগুড়ি ঃ বিজেপিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র কোন্দল প্রকাশ্যে এল। আজ বুধবার জলপাইগুড়ি শহরে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজয়া সম্মেলনে যোগ দিলেন প্রায় এক হাজার কর্মী ও সমর্থকরা। যদিও এই বিষয়ে জেলা সভাপতি কোনও মন্তব্য করেননি। জেলা সভাপতি ও বিরোধী গোষ্ঠীর দুই পৃথক বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে কাজিয়া তুঙ্গে।

জলপাইগুড়িতে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এলো বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে একের পর এক তোপ দাগলো বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনায় সরগরম জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহল। জলপাইগুড়ির ডি বি সি রোডে বিজেপির পুরোনো কার্যালয়ের বদলে নতুন কার্যালয় তৈরী হবে বলে তা ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে এখনো নতুন কার্যালয় না হওয়ায় এতদিন জলপাইগুড়ি শহরে দুটি দলীয় কার্যালয় থেকে দল চালাচ্ছিলেন বিজেপির দুই যুযুধান শিবির।

জেলার নতুন পাড়া এলাকায় বাকালী হাউসে কার্যালয় খুলে দল চালাচ্ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বর্তমানে রাজ্য সহ সভাপতি দীপেন প্রামানিক। অপরদিকে, জলপাইগুড়ি ৪ নং ঘুমটি এলাকায় ঐতিহ্য ভবন নামে একটি ভবন ভাড়া করে দল পরিচালনা করছেন বর্তমান জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। এবার এই দুই শিবির বুধবার জলপাইগুড়ি শহরে দুটি পৃথক বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বসে। আর একে ঘিড়েই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে।

বুধবার জলপাইগুড়ি মোহিত নগর স্কুল ময়দানে ছিলো বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান। অপরদিকে, জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়ার শ্রীদয়াল হলে পাল্টা একটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বিরোধী গোষ্ঠী। দীপেন প্রামানিকের অনুগামীরা এদিন শ্রীদয়াল হলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

এদিন প্রায় হাজার খানেক কর্মী ও সমর্থকরা বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়। সম্মেলন মঞ্চ থেকে জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন সভায় যোগ দেওয়া নেতা কর্মীরা। এদিনের সভা শেষে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তথা আই টি সেল কনভেনার কানন রায় বলেন আজকের এই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে যারা এসেছেন তাদের সবাইকে বর্তমান জেলা সভাপতি তথা ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকেরা দল থেকে সরিয়ে ব্রাত্য করে রেখেছেন।

আমরা অনেক কষ্টে তাদের বুঝিয়ে সুজিয়ে দলে রেখেছি, তাই তাদের নিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠান করলাম। আমরা লক্ষ করলাম বর্তমান জেলা সভাপতি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উনি কাজের লোককে সরিয়ে দিয়ে তাঁর কাছের লোক দিয়ে জেলা চালাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এইভাবে যদি চলতে থাকে আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলার আটটি বিধানসভা আসনেই এর প্রভাব পড়বে।

দল একটি আসনেও জিততে পারবে না। তাই আজকের এই অনুষ্ঠান করে আমরা দলের রাজ্য বা অন্যান্য নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। তাঁরাও দেখুক প্রকৃত বিজেপি কর্মীরা কাদের সাথে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজকের বিরোধী গোষ্ঠীর ডাকা বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীকে টেলিফোনে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এই বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না৷

অন্যদিকে আজকের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করতে চাননি দীপেন প্রামানিকও। এখন দেখার বিষয়, আগামী দিনে জলপাইগুড়ির জেলা বিজেপির অভ্যন্তরীণ এই কোন্দল কোন রূপ নেয়।

Advertisements

Leave a Reply