আজকের বৈঠকে সমাধান না মিললে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই বড়োসড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কৃষকদের
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ ২০২০ পেরিয়ে ২১শে পরল বছর। কিন্তু কৃষকদের দাবি দাওয়া যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। দাবি না মানলে এবার সরাসরি দিল্লি অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন দর্শন পাল সিং’রা। আজকের বৈঠকে সমাধান না মিললে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই বড়োসড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কৃষকদের।
তাই প্রজাতন্ত্র দিবসেই এসপার-ওসপারের দিন হিসেবে বেছে নিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। অন্যদিকে, এখন কৃষকদের মূল নিশানা হয়ে দাঁড়িয়েছে রিলায়েন্স সংস্থাটি। কারন জিও নেটওয়ার্ক সারা ভারতে বিস্তারের পিছনে নরেন্দ্র মোদি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ট্রাই এর আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওয়েলকাম অফার এবং বিভিন্ন ফ্রী প্যাক দিয়ে কাস্টমার টেনে বাকি নেটওয়ার্ক গুলিকে পথে বসিয়েছে জিও। যার ফলে ইনফরমেশন টেকনোলজীতে বেড়েছে বেকারত্বের সংখ্যা।
তাই এদিন পণ্য বয়কটের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রিলায়েন্স জিও মোবাইলের টাওয়ার ও বেশ কয়েকটি পরিকাঠামো ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা। পঞ্জাবে প্রায় ৯ হাজার রিলায়েন্সের টাওয়ারে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে সুত্রের খবর। পঞ্জাব ও হরিয়ানাতে রিলায়েন্স কর্তৃপক্ষ একের অধিকবার পঞ্জাব সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে এবং তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাদের দাবি, এই নতুন কৃষি আইনের সঙ্গে তাদের সংস্থার কোনও যোগসূত্রই নেই।
নতুন তিনটি কৃষি আইনের সঙ্গে তাদের সংস্থার যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টাকে বৃথা প্রচেষ্টা বলেও জানান হয়েছে রিলায়েন্স পক্ষ থেকে। এদিকে, বিরোধী দলগুলির মধ্যে সুর চড়াল কংগ্রেস। সনিয়া গান্ধী কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, কৃষকরা শীতের মধ্যে ৩৯ দিন ধরে রাজধানীর উপকণ্ঠে অবস্থান করে তাদের ন্যায্য দাবীর জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। কিন্তু সরকার পক্ষ তাতে বিন্দু মাত্র কর্ণপাত করছে না।
এছাড়াও এদিন প্রায় ৫০ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু তারপরেও কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ষষ্ঠ দফার বৈঠকে বসেছিলেন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। পরবর্তী বৈঠক হবে আজ অর্থাৎ সোমবার। সোমবারের বৈঠকে সমাধান সূত্র না পাওয়া গেলে কৃষকরা প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনই বড়সড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলে আগে থেকেই ঘোষণা করে দিয়েছেন।