BigBreaking : হাড়হিম করা হত্যাকান্ড হায়দ্রাবাদে

HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ, হায়দ্রাবাদ : স্ত্রীর দেহ টুকরো করে কেটে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করল এক প্রাক্তন সেনাকর্মী (Ex-Serviecman)! প্রথমে স্ত্রীর দেহ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করেন। তারপর হাড় গুঁড়ো করে হামান দিস্তায়। এরপর তিনদিন ধরে সেই দেহাংশ সেদ্ধ করেন প্রেসার কুকারে। অবশেষে এই ঘৃণ্য কাজকে পরিনাম দিতে তা ফেলে দেন মীরপেট লেকের জলে। পরে পুলিশের কাছে ধরা পরার পর এই পৈশাচিক কীর্তি স্বীকার করলেন প্রাক্তন সেনাকর্তা গুরু মূর্তি (৪৫)। এই লোহমর্ষক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হায়দ্রাবাদ পুলিশ (Haydrabad Police)। পিটিআই ও পুলিশ সূত্রের খবর, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল তুঙ্গে। প্রায়ই স্ত্রী বেঙ্কট মাধবীর গায়ে হাত তুলতেন গুরু। ফলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দাম্পত্য কলহের জেরেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। তবে এই খুনের আসল কারণ বা মোটিভ জানতে চলছে তদন্ত।
জানা গেছে, গুরু মূর্তি নামে ওই ব্যক্তি আগে সেনাবাহিনীতে (Military) কর্মরত ছিলেন। অবসরের পর তিনি নিরাপত্তারক্ষী (Security guard) হিসাবে কাজ করছিলেন। এদিকে গত ১৬ই জানুয়ারি থেকে তাঁর স্ত্রী বেঙ্কট মাধবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বহু খোঁজাখুঁজির পর গত ১৮ই জানুয়ারি স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি (Missing Diary) করেন মাধবীর বাবা-মা। মনে করা হচ্ছিল, রোজকার অশান্তি থেকে রেহাই পেতেই বোধহয় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। প্রথম থেকেই তাদের সন্দেহ ছিল অভিযুক্ত স্বামীর উপর। স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অপরাধ স্বীকার করে নেন তিনি।
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক নাগারাজু (Nagaraju) জানান, জেরায় গুরু দাবি করেছেন, স্ত্রীকে খুন করার পর প্রথমে তিনি দেহ টেনে নিয়ে যান বাথরুমে। সেখানে কুচি কুচি করে কাটার পর হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে আলাদা করেন। হাড়গুলো গুঁড়িয়ে ফেলেন হামানদিস্তায়। বাকি অংশগুলো সেদ্ধ করেন প্রেসার কুকারে। এই কাজ তিনি তিনদিন ধরে করেছেন। এরপর সেই টুকরোগুলো ভাসিয়ে দেন মীরপেট লেকে (Meerpet lake)। গুরুর দাবি মতো ওখানেই এখন মাধবীর দেহাংশ খুঁজছে পুলিশ। তল্লাশিতে নামানো হয়েছে পুলিশি কুকুরও। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পরও সেখান থেকে কোনও দেহাংশ খুঁজে পায়ননি তদন্তকারিরা। তবে তল্লাশি জারি আছে।