HN EXPRESS-এর ব্রেকিং খবর আজ মিলে গেল, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হলেন তৃণাঙ্কুরই
HnExpress দেবাশিস রায়, কলকাতা : গত সপ্তাহে এইচ এন এক্সপ্রস ব্রেকিং নিউজ করেছিল রাজ্যে প্রদেশ ছাত্র পরিষদের সভাপতি হচ্ছেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তৃণাঙ্কুর বীজপুরের ভূমিপুত্র। ৭ সেপ্টেম্বর এই পোর্টালে ওই খবর প্রকাশের পর অনেক সংবাদমাধ্যম তা বিদ্রুপ করেছিল। গত শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর এবিষয় নিয়ে তৃণমল ছাত্র পরিষদের সভা হয় তৃণমূল ভবনে।
প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভানেত্রীকে কনভেনর করে একটি পর্যবেক্ষক কমিটি গড়া হয়। সেই মোতাবেক আজ পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূল ভবনে। সেখানে সর্বসম্মতি ক্রমে তৃণাঙ্কুরকে প্রদেশ ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়।
আগের খবর : কলেজে কলেজে ছাত্রভর্তি নিয়ে তোলাবাজির ঘটনায় তোলপাড় ওঠে রাজ্য। শিক্ষামন্ত্রী অবধি তার কোনও বিহিত করতে পারেননি। গ্রেপ্তার হন বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মী। এতে যারপরনাই রুষ্ট হন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি আচমকা হানা দেন বিভিন্ন কলেজেও। কিছুটা হলেও ধরা পড়ে ছাত্রভর্তি নিয়ে তোলাবাজির ঘটনা। যার দরুন রাতারাতি পদ হারাতে হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী জয়া দত্তকে।
তারই মাঝে সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সম্প্রতি কলকাতার একটি রাস্তায় জয়ার বেপরোয়া আচরণ। সব মিলিয়ে ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এসবের আঁচ পড়ে যথেষ্ট। তাই তড়িঘড়ি ৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিশেষ সাংগঠনিক সভা ডাকা হয় তৃণমূল ভবনে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, সেই সভাতেই নতুন সভাপতি নির্বাচিত করার কথা ছিল। আর সেই সভাপতির পদের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তিনি আবার বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদকও বটে। সঙ্গে বারাসাত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষকও। তার ওপর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ স্নেহভাজন তৃণাঙ্কুর। স্বভাবতই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদে তাঁর মনোনয়নটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা ছিল ছবিটা।
স্বভাবতই হালিশহর তথা সমগ্র বীজপুরবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন সেই মুহূর্তটার জন্য। কেননা, তৃণাঙ্কুর হালিশহরের বাসিন্দা। সে যে রাজ্য-রাজনীতিতে অনেক দূর যেতে পারে তার একটা রূপরেখা তুলে ধরে প্রতিবেদনও লিখেছিলাম স্থানীয় একটি মাসিক পত্রিকায়। জানিয়ে ছিলাম তৃণাঙ্কুর যদি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদে আসীন হয় তবে ছাত্র রাজনীতি স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে সন্দেহ নেই। কারণ তাঁর মতো সততা ও স্বচ্ছতা নিয়ে রাজনীতির মানুষ খুব কমই আছে। তৃণাঙ্কুরের জন্য রইল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।