KSF এর উদ্যোগে হৃদরোগে আক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির
HnExpress ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত, মধ্যমগ্রাম : বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি এই রোগে আক্রান্তের বয়স সীমাও কমেছে। অর্থাৎ বয়স্কদের তুলনায় এখন নব প্রজন্মের মধ্যে এই রোগের প্রভাব অনেকটাই বেশি দেখা যাচ্ছে। আর এর জন্য দায়ী আমাদের নিত্যদিনের লাইফস্টাইল, অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ও অতিরিক্ত জিম বা শরীরের প্রতি অবহেলা।
আমরা সবাই জানি যে, দেহের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো হার্ট বা হৃদযন্ত্র। অন্য অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রতিস্থাপন বা নকল করা এখন সম্ভবপর। কিন্তু হৃদযন্ত্র একবার স্তব্ধ বা বিকল হয়ে যাওয়ার পর তা ফিরিয়ে আনা আর প্রায় অসম্ভব। ফলে সময় থাকতেই আমাদের নিজেদেরকে এ বিষয় যথেষ্ট সচেতন হতে হবে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য যা যা করণীয় তা করতে হবে, এমনটাই বার্তা দিচ্ছেন বিভিন্ন চিকিৎসাবিদগণ।
এরই পাশাপাশি হার্ট সম্পর্কে বা সেই বিষয় নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াসে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের সবস্তরের মানুষকেই। আর KSF হলো সমাজসেবায় ব্রতী সেরকমই কর্মনিষ্ঠ আত্মনিয়োজিত একটি সংগঠন, যার মূল উদ্দেশ্য বা কাজ কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়াই সমাজের জন্য কিছু করার প্রয়াস। দু:স্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রচেষ্টার নাম কৃষ্ণা সায়েন্স ফাউন্ডেশন।
এই সংস্থার কর্ণধার তথা সভাপতি হলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সুনন্দন শিকদার, যার হাত ধরেই এই সংগঠনের পথচলা শুরু। সংস্থার সম্পাদক বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অভ্রদীপ দাসের নির্দেশনায় এবং KSF এর সমগ্র টিমের সহযোগিতায় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত-মধ্যমগ্রাম এলাকা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।
সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের চ্যানেলের প্রতিবেদকে জানানো হয় যে, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল — হার্ট বিষয়ক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিবিরের মাধ্যমে CPR বা Cardio Pulmonary Resuscitation এর প্রশিক্ষণ দেওয়া। যেটাকে মূলত কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আক্রান্ত রোগীকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আগের “লাইফ সাপোর্ট” বলা হয়।
এই প্রক্রিয়াকরণকে বাংলায় এককথায় “নবজীবনসঞ্চার”ও বলে। এদিন কেএসএফ এর মহতী উদ্যোগে ও মধ্যমগ্রাম থানার স্বতস্ফূর্ত সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো সেই হৃদরোগ বিষয়ক স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির। যেখানে থানার পুলিশ আধিকারিক সহ ট্রাফিক পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের হাতেকলমে সিপিআর বা কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসাসিটেসনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এই প্রশিক্ষণ শিবিরে দক্ষ প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রিটিক্যাল কেয়ারের বিশিষ্ট চিকিৎসকদ্বয় ডাঃ অভ্রদীপ দাস ও ডাঃ উত্তম দাস সহ মধ্যমগ্রামের নিউকেয়ার ডায়গোনস্টিক সেন্টারের মেডিক্যাল টিম। উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম থানার সাব ইন্সপেক্টর পিংকি ঘোষ সহ ট্রাফিক পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার ও সংস্থার অন্যান্য কর্মীবৃন্দ। এদিনের এই সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও মানব জীবনে সিপিআরের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চিকিৎসকমন্ডলী থেকে পুলিশ আধিকারিক তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন।