জুতার মালা ও ৩০০ বার কান ধরে উঠবস, এবার লোকসভা ভোটে তিনিই ছিলেন শাসক দলের নির্যাতনের প্রধান “মুখ”, কবিতা দাস
HnExpress ভাস্কর বাগচি, মেদিনীপুর : মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতী অঞ্চলের বাগডুবি গ্রামের প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী কবিতা দাস। যাকে জুতোর মালা পড়িয়েছিল তাঁরই দল, মানে তৃণমুলীরাই। অপরাধ ছিল, তিনি ছাপ্পা ভোটে বাধা দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত ভোটে। পঞ্চায়েতের রেজাল্ট বের হতেই তাকে তৃণমুলের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে ৩০০ বার কান ধরে উঠবস করানো হয় ও জুতার মালা পরান হয়েছিল, যা ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যা কবিতা দাসের সেই হেনস্থার ছবি ভাইরাল হতেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার জেরে প্রথমে দল থেকে বহিষ্কার ও পরে জেলেও যেতে হয়েছিল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা লক্ষীকান্ত কুইলা সহ আরও ৩ জনকে।
সেই কবিতাই এখন বিজেপির মুখ। কতজন তাকে মনে রেখেছেন? না রাখলেও তাঁর কিছু যায় আসে না। আর সেটা বুঝিয়ে দিতেই, তিনি এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিজের বুথ থেকে বিজেপিকে এগিয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন সেই বিজয় মিছিলে।
এদিন কবিতা দাস বললেন “গত পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলাম, তারপর পঞ্চায়েত ভোটে যখন ছাপ্পা দিতে বাধা দেই, তখন তারা আর রাগ চেপে রাখতে পারেনি। ১৪ মে ভোটের ফল বেরোতেই বাগডুবির তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে এক গাদা লোকের সামনে আমাকে কান ধরে উঠবস করিয়ে ছিল তারা।” সুত্র অনুযায়ী জানা যায়, ঘটনার পরে আতঙ্কে পুলিশের কাছেও যেতে পারেননি তিনি। পরে সেই ছবি মিডিয়ার হাতে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। তৎপর হয় প্রশাসন, সাথে দলও।
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ঠিক সেই ঘটনার পরেই অবশ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন কবিতা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে স্বামী গোপাল দাসকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে ছিলেন তিনি। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিও জয়ী হয়েছেন। তার বুথ থেকেও প্রচুর লিড পেয়েছে বিজেপি। তাই আজ এলাকায় এক বিশাল বিজয় মিছিল করলেন। আর এই জয়কে “জনগণের জবাব” বলে দাবি করলেন নিগৃহীত এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী কবিতা দাস।