June 15, 2025

ঘুমন্ত অবস্থায় গণধর্ষণ, তদন্তে হরিয়ানা পুলিশ

0
Advertisements

HnExpress ২৭শে ডিসেম্বর, প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, ক্রাইম ঃ সমাজ উন্নতির শিখরে উঠলেও, ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট মানের অপরাধ কিন্তু আজও বর্তমান। দৈনন্দিন খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে ধর্ষণের মতন খবর। ভারত এর প্রায় সব কটি রাজ্যে গণধর্ষণের মতো কাজ চোখে পড়ার মতন। এবারের ঘটনাটি হরিয়ানার যমুনানগরে। একা নয়, এবার স্বামীর সামনেই গণধর্ষণের শিকার হলেন তিনি। জানা গেছে যে, ঘুমন্ত অবস্থায় গণধর্ষণ হয়, তদন্তে নেমেছে হরিয়ানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে ২৪শে ডিসেম্বর অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার, হরিয়ানার যমুনানগর জেলার এক গ্রামে। ধর্ষিতার বয়স ৩৭ বছর, স্বামী ও দুই বছরের মেয়ের সঙ্গে বসবাস করতেন গ্রামের একটি কল ঘরে। তাঁরা নেপালের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে যমুনানগর জেলার খামারে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। বাড়ির বারান্দাতে তাঁর স্বামী, ও ঘরে ওই মহিলা এবং ছোট মেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন।

দুষ্কৃতীরা বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ একটি গাড়িতে করে এসে ওই মহিলার স্বামীকে বেঁধে একের পর এক ৪জন মিলে ধর্ষন করে সেই মহিলাকে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, দলে ৫ জন থাকলেও ৫ নম্বার ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে তিনি তাকে ধাক্কা দেয় এবং সে পড়ে যায়। তাদের সকলেই মুখেই কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল তাই চেনার উপায় ছিলো না। অভিযুক্তরা পালানোর আগে তাঁদের পরিবারকে হুমকি দেয় থানাতে অভিযোগ না জানানোর জন্য।

সেই মুহূর্ত কাটিয়ে ওঠার পরেই মহিলা এবং মহিলার স্বামী বাড়িওয়ালাকে জানান সম্পূর্ণ ঘটনাটি। বাড়িওয়ালার সহায়তায় লোকাল থানায় ডায়েরি করেন তাঁরা। পুলিশের কাছে মহিলার অভিযোগ “আমি এবং আমার মেয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম এবং আমার স্বামী বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় আমার স্বামীকে বেঁধে রেখে, চারজন লোক মিলে আমাকে গণধর্ষণ করে”।

দেশ তথা প্রতিটি রাজ্যে প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার জন্য প্রশ্ন উঠছে, মহিলাদের নিরাপত্তা আজ কোথায়? কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, আইনের বেড়াজালে তলিয়ে যায় অনেক ধর্ষিতার কাহিনী। কিংবা বদনামের ভাগি হতে হয় সেই ধর্ষিতাকেই। দোষ দেওয়া হয় সেই নারীর পরিহিত পোশাক নিয়ে। কিন্তু অপরাধের মূল শিকড় উপড়ে ফেলে তার কোনো প্রতিকার করা হয় না আজকের শিক্ষিত তথা মুখোশধারী ভদ্র সমাজে!

Advertisements

Leave a Reply