শীঘ্রই আসছে মহিলা পরিচালক বর্ষালীর পূর্ণদৈর্ঘ্যের থ্রিলার ‘বাকি এখনো দুই’
HnExpress ২রা ফেব্রুয়ারী, দিব্যেন্দু ঘোষ, কলকাতা ঃ একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে আবার ছবি পরিচালনায় বর্ষালী চ্যাটার্জি। খুন, অপরাধ জগতের অলিগলিতে বিচরণ। বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে এক টানটান থ্রিলার। এক মহিলা পরিচালক নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে যেভাবে কাজ করার সাহস দেখিয়েছেন, তাতে দর্শকমনে নতুন আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শীঘ্রই আসছে ‘বাকি এখনো দুই’ পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি, যেখানে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার মত ঘটনা রয়েছে।
এই দৃশ্যকল্প বর্ষালী যখন চিত্রনাট্যে লেখেন তখন কিন্তু তেলেঙ্গানায় সেই মহিলা পশু চিকিৎসকের ওপর চার ধর্ষকের পৈশাচিক অত্যাচারের ঘটনা টা ঘটেনি। কিন্তু ছবির কাজ চলতে চলতেই চিত্রনাট্যের মতই সেই হাড় হিম করা ঘটনাটি হটাৎই ঘটে যায়। যা এই ছবিটির অন্যতম ইউএসপি হিসেবে বাণিজ্যিক সাফল্য এনে দিতে পারে বলে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সমালোচকরা মনে করছেন। আর আনকোরা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তালিকায় রয়েছেন টুয়া সরকার, সংহিতা বসু, স্বরাজ ব্রিগেঞ্জা, শান্তনু ঘোষ প্রমুখ।
সম্পাদনা করেছেন প্রবীর গিরি, সংগীত ও আবহে শান্তনু ঘোষ। প্রযোজনায় কল্পনা চ্যাটার্জি ও সোমনাথ কয়াল। সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে ছবিটির ট্রেলার রিলিজ হয়েছে। পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার বর্ষালী জানান, ছবির গল্প যথেষ্ট ঘাত-প্রতিঘাতে মোড়া। গল্পটা এইরকম— কাজের মেয়ে পূজাকে নিয়ে অজন্তা থাকতেন। এই পরিবারের একজন বিল্লু। সে ড্রাইভার। বিল্লুর সঙ্গে পূজার একটা প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অজন্তারও তাতে আপত্তি ছিল না। কিন্ত অবশেষে প্রেমের পরিণতিটা মধুরেণ সমাপয়েত না হয়ে কেমন যেন খাপছাড়া হয়ে যায়। আর থ্রিলটা এখানেই।
একদিন গাড়ি চড়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি মেয়েকে গাড়িটি ধাক্কা মারে। বিল্লুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও মেয়েটি তার বাড়ি যাওয়ার জন্য জিদ ধরে বসে থাকে। গাড়িতে ওই মেয়েটির ক্রমশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কখনও হাসছে, কখনও কাঁদছে, কখনও বা হুমকি দিচ্ছে। একসময় মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে যায়। গাড়িতে সবাই লক্ষ্য করে যে, মেয়ের সঙ্গে যে ব্যাগটি ছিল সেটা সে না নিয়েই চলে গেছে। ব্যাগটি মেয়েটির কাছে পৌঁছে দিতে অজন্তা আর বিল্লু পুলিশের শরণাপন্ন হয়।
এদিকে পঞ্চু নামের আর একজনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে পুলিশ তখন ব্যস্ত। গঙ্গার ধারে চিত্ত খাঁ নামে আরও একজনের মরদেহ এবং খুন করে রক্ত মাখা চপারটি ফেলে রাখা অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ। এমন অবস্থায় মেয়েটির ব্যাগটি নিয়ে থানায় জমা দিতে এলে দেখা যায় তাতে নরমাংস ভর্তি। তাদের কাছ থেকে বিবরণ শুনে পুলিশ মেয়েটির একটি স্কেচ আঁকাও শুরু করে দেয়। আর সকলে ভাবতে থাকে তাহলে কি গাড়িতে উঠে পড়া মেয়েটি কোনও মানুষ? নাকি কোনও অশরীরী? নাকি কোনও আত্মা? চিত্ত খাঁ এবং পঞ্চু খুনের কারণ কী? কারা দায়ী? এমন বহু অজানা প্রশ্ন দর্শক মনে তোলপাড় ফেলবে।
বর্ষালী বলছেন, নতুনদের নিয়ে কাজ করতে তিনি অনেক সাবলীল। নতুন মুখকে খুনী, ধর্ষক, অপরাধী সাজালে দর্শক সে মানুষটাকে দেখে না, ভাবে না বরং সেই চরিত্রটাকেই দেখে, অর্থাৎ ছবিটা অ্যাক্টরস ফিল্ম না হয়ে ডিরেক্টরস ফিল্ম হয়ে ওঠে। সামগ্রিক রাশটা ধরে রাখা যায়। মনের মতো করে গল্পটাও বলা যায়। আমি সেটাই করতে চেয়েছি। বাংলা নববর্ষের আগেই মুক্তি পাবে ‘বাকি এখনো দুই’।