December 13, 2024

চিন নিজেই করোনা ভাইরাস চাষ করছিল জৈব মারণাস্ত্র বানাতে, উঠে এল এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

0
Fb Img 1580709318016.jpg
Advertisements

HnExpress ৩রা ফেব্রুয়ারী, ওয়েবডেক্স নিউজ, সমাজ সচেতনতা ঃ চিনের করোনা ভাইরাসের দাপট যেন ‘রেসিডেন্ট ইভিল’ সিনেমার এক বাস্তব প্রতিফলন। ইউক্রেন বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী মিলা জভোভিচ অভিনীত, পল অ্যান্ডারসন পরিচালিত হলিউডি সুপারহিট ছবিটির রয়েছে ছয়টি সিরিজ। মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দফায় দফায়। হ্যাঁ এই সিনেমারই বাস্তব প্রতিফলন হিসেবেই এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল যে, চিন জৈব মারণাস্ত্র বানাতে নিজেরাই নাকি চাষ করছিল নোভেল করোনা ভাইরাস।

বস্তুত জৈব রাসায়নিক অস্ত্র ও জেনেটিক্যাল মিউটেশন কীভাবে মানব সভ্যতার ধ্বংস ডেকে আনবে তা দুর্দান্তভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে এই বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন এবং হরর থ্রিলার ছবিতে। রেসিডেন্ট ইভিলে দেখানো হয়েছিল যে, গোপন গবেষণাগারে তৈরি ‘টি’ ভাইরাস ও ক্লোনিং প্রক্রিয়া বিভিন্ন নিরীহ প্রাণী ও মানুষের উপর প্রয়োগ করে প্রথমে তাদের জিনগত অভিযোজন ঘটানো হচ্ছে। তারপর তাদের হিংস্র দানবে পরিণত করে সাম্রাজ্য বিস্তারের চক্রান্ত করছে একটি বেসরকারি সংস্থা।

কিন্তু দুর্ঘটনাবশত এই গবেষণাই বুমেরাং হয়ে যায়। কোটি কোটি মানুষ টি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জম্বিতে পরিণত হয় এবং গবেষকদের দোষেই মানব সভ্যতা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় দুনিয়া থেকে। আর চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া সেই নোভেল করোনা ভাইরাস ক্রমেই তা যেন মহামারীর আকার নিচ্ছে বাস্তবেও। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তদের সংখ্যা। আক্রান্তদের তালিকা থেকে বাদ যায়েনি ইউরোপ, আমেরিকাও।

বিমান যাত্রীদের মাধ্যমেও নাকি ছড়াচ্ছে এই ভয়ংকর ভাইরাস। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। আর এই ঘটনায় “রেসিডেন্ট ইভিল” সিনেমার সেই ভয়ানক প্রতিফলনই দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। কারণ, দুটি দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুনিয়া জুড়ে। প্রথমটি হল ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সন্দেহ করেছে, রহস্যময় ‘নোভেল করোনা ভাইরাসের’ চাষ করেছে চিনের গোপন সামরিক গবেষণাগার। দ্বিতীয় দাবি, মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট এই দাবিকেই নির্দ্ধিধায় সমর্থন করেছে।

আর অন্যদিকে ইজরায়েলের জীবাণু অস্ত্রের বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, এই ভাইরাসের জন্মদাতা ইউহানের জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কারখানা বায়ো-সেফটি লেভেলের ৪টি ল্যাবোরেটরি। সাথে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অসাবধানতাবশত এই গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণ। আসলে জৈব
রাসায়নিক অস্ত্রের উপর গবেষণা করতে
গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন চিনের মহা বিজ্ঞানীরা।

ইজরায়েলের সেনা গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে সে দেশের দুটি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ব্যাপক আধুনিকীকরণ, ছাঁটাই প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন করছে চিন। চলছে জীবাণু অস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়েও গবেষণা। এরই অঙ্গ হিসাবে সার্স জাতীয় এক ভাইরাস নিয়েও গবেষণা করছিল চিনের সামরিক বাহিনীর গবেষণাগার। আর সার্সের পুরো নাম, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম।

জ্বর, হাঁচি, কাশি, শরীরে অসহ্য ব্যথার মতো উপসর্গ থাকে এই রোগে। পরিণতি ভয়ংকর মৃত্যু। সার্সের মতোই আরেকটি নয়া ভাইরাস হল নোভেল করোনা ভাইরাস। এটি আরও মারাত্মক এবং শক্তিশালী। মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট ও ইজরায়েলের মোসাদের দাবি হলো যে, শত্রুদেশ দখল করতে এবং বিনা রক্তপাতে শত্রু সেনাদের খতম করতে অনেক দিন ধরেই এই জীবাণু অস্ত্র নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে চিনের লাল ফৌজ। তবে বিশ্বস্ত সুত্রের খবর অনুযায়ী চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশেই নাকি চলছিল এই গবেষণা।

সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানাই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাস মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। চিনে ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২০০ পার হয়ে গেছে। আর ইতিমধ্যে ভারতের কেরলেও নোভেল করোনা ভাইরাসের রোগীর খবর সরকারী ভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাইরাসটি যে ভারত-বাংলাদেশের কাছাকাছি নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও তিব্বতে পৌঁছে গেছে, তা আগেই নিশ্চিত করা হয়েছে। অতএব এই বিপজ্জনক ভাইরাসটি সম্পর্কে এখন থেকেই সতর্ক হোন। এলাকায় চিন থেকে সদ্য ফেরা কেউ থাকলে সাবধান হোন। কিন্তু এটাও মাথায় রাখবেন যে, অযথা আতংক বা গুজব যেন না ছড়ায়। আর তাই ভাইরাস সম্পর্কিত খবরের দিকে নিয়মিত চোখ রাখুন, সতর্ক থাকুন।

তথ্যসূত্র ও চিত্র ঃ সোস্যাল মিডিয়া।

Advertisements

Leave a Reply