আজ করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ ঘোষণা, কি বললেন তিনি রাজ্যবাসীকে ঃ জেনে নিন এক নজরে
HnExpress ২০শে মার্চ, ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত, কলকাতা ঃ বর্তমানে সারা বিশ্ব তথা ভারত এবং ভারত অধ্যুষিত প্রতিটি রাজ্যেই থাবা বসিয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। যার জের এসে পৌঁছেছে বাংলার বুকেও। ফলতঃ রাজ্যে একের পর এক বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। সুত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২২৬ জন। আর আজ সেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জরুরিকালিন ঘোষণা করলেন। তিনি ঠিক কি কি বিষয় নিয়ে বললেন রাজ্যবাসীকে! চলুন জেনে নিই এক নজরে—
১) চিকিৎসা কর্মী যারা আছেন, তাদের উদ্দেশ্যে —পুজোর পর বিশেষ ছুটি পাবেন আপনারা।
২) সবাইকে আগামী ৬ মাসের রেশন রাজ্য সরকার প্রদান করবে।
৩) সাড়ে সাত কোটি মানুষকে, বিশেষ করে গরীবদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চাল, গম খাদ্যশস্য দেওয়া হবে।
৪) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এখন এই আপাতকালিন জরুরি পরিস্থিতিতে সবার কাছেই অনুরোধ, যে যা পারবেন কিছু কিছু দান করুন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী।
৫) ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তর (msme) এর উদ্যোগে মাস্ক ও সানিটাইসার তৈরি করা হচ্ছে রাজ্যের চাহিদা সামলাতে।
৬) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে আশু সমস্ত রকম ফরেন অর্থাৎ বিদেশ থেকে আগত ফ্লাইট বন্ধ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৭) বেসরকারি কোম্পানিকে অফিস ফুর্টফল কমাতে বললেন তিনি, কাজের সময়েও কমাতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
৮) রাজ্যের সরকারি কর্মীরা রোটেশন শুরু করবেন, কারণ বাড়ি থেকেই কাজ করার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে সরকারি দপ্তরে।
এমনই বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠকে ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে কলকাতায় হু হু করে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে একটাও মৃত্যুর খবর নেই এখনো পর্যন্ত। এর পাশাপাশি তিনি রাজ্যবাসীর কাছে অনুরোধ করলেন যে, কেউ অযথা আতংকিত বা ভয় পাবেন না। কোনোরকম গুজবে কান দেবেন না, আর এই ভাইরাস নিয়ে মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ টেনে নিয়ে আসবেন না। যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন। আর বাড়ি থেকেই অফিসিয়াল কাজ সম্পূর্ণ করুন।
তিনি আরও বললেন যে, বাংলায় এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কোনো রকম কালোবাজারি হতে দেব না। যদিও আজ থেকেই বহু জায়গায় কাঁচা সব্জি, চাল, ডাল, শস্য কিনে নিয়ে মজুত করে তা বেশি দামে বিক্রি করে কালোবাজারি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। মাক্স তো পাওয়া যাচ্ছেই না, সাথে ১৫-১৬ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। নাম জানাতে ইচ্ছুক নয় এমন এক ব্যবসায়ী জানালেন যে, তাদেরকেও বেশি দামে মাল কিনতে হচ্ছে মার্কেট থেকে। তাই আলুর দাম বেড়ে ৫০-৬০ হয়ে যাবে আগামীকাল থেকে।
যেখানে গরম পড়তে না পড়তেই নতুন পিয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল ২০-২২ টাকায়, আজ সেই পিয়াজের দাম উঠেছে ৪০ টাকায়, আগামীতে বাড়তে পারে আরও দাম। বেড়ে যাচ্ছে চাল, ডাল, তেল, মশলাপাতি প্রায় সবকিছুরই দাম। কিন্তু অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার বার করে ঘোষণা করছেন এবং সতর্ক করছেন দেশ তথা রাজ্যবাসীকে, যেন তারা আগাম খাদ্যশস্য মজুত না করেন। কারণ এই পরিস্থিতিতেও যথেষ্ট খাদ্যশস্য উৎপাদন করে মজুত করে রাখা আছে বলে দাবি করছেন মন্ত্রী মহল।
আদৌও কি এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বন্ধ হবে কিছু স্বার্থপর মানুষের কালোবাজারি ধান্দা? দেশ তথা রাজ্যবাসী কি ফিরে পাবে তাদের সুনিশ্চিত জীবন? আদৌও কি কমবে দাম খাদ্যশস্যের? সহজলভ্য হবে কি মাক্স ও সানিটাইসার? করোনা মোকাবিলায় ভারত তথা রাজ্য কতটা এগিয়ে — জানতে হলে চোখ রাখুন আমাদের ডিজিটাল মিডিয়ার পেজে। এবং ক্লিক করুন আমাদের নিউজ লিংকে আর সাথে থাকুন, এগিয়ে থাকুন।