পশ্চিমবঙ্গে জৈব চাষ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি বিষয়ক পরামর্শদাতা প্রদ্বীপ মজুমদার
HnExpress অরুন কুমার, উত্তরবঙ : সারা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যের উত্তরের জেলা গুলোতে বাড়ছে জৈব চাষ সম্পর্কে আগ্রহ। ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত সেল্ফ হেল্প গোষ্ঠী কিম্বা কৃষক সঙ্ঘ গঠন করে চলেছে উত্তরের দার্জিলিং, কালীমপঙ, উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি সহ জেলাগুলিতে। এই জৈব চাষ কোথাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা সমবেত ভাবে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতেও জৈব চাষের প্রতি আগ্রহ দেখে এই রাজ্যেও যথেষ্ট আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে জৈব চাষের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি কি এ বিষয়ে প্রশ্ন রেখেছিলাম এই রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি বিষয়ক পরামর্শদাতা প্রদ্বীপ কুমার মজুমদারের কাছে। আর সেই প্রশ্নের প্রতুত্তর হিসেবে জৈব চাষের ওপর তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিমত আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
জৈব চাষ সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যে অভিমত প্রদ্বীপ মজুমদার ব্যক্ত করেছেন, তা হলো সারা ভারতে জৈব চাষ কোথায় কী রকম হছে, তা তার জানা নেই। প্রতিবেশী রাজ্যকে জৈব চাষ যুক্ত রাজ্য রূপে ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন জনসংখ্যার নিরিখে, ওই রাজ্যের সব কিছুই তো এই রাজ্য থেকেই যায়। তিনি আরো যেটা এই প্রসঙ্গে বলেছেন তা হলো, পশ্চিমবঙ্গের উৎপাদিত কোনো জৈব কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানী হয়নি, এই প্রসঙ্গে তিনি কোনো তথ্য পেলে অবশ্যই উদ্যোগী হবেন।
সিকিম রাজ্যে জৈব রাজ্য ঘোষণায় সারা ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে ওই রাজ্য কখনোই নজীর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন না। জৈব চাষের ওপর কোনো সুচিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি আরো যেটা বলেছেন সেটা হলো, সারা দেশে কিছু মানুষ এটা ভুল ও মিথ্যা প্রচার করে চলেছে যে আমরা এই রাজ্যে সব বিষযুক্ত খাবার খাচ্ছি, যাতে নাকি মানুষ ভয় পেয়ে গিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে খাদ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ডব্লিউ টি ও (WTO) ‘র চুক্তি অনুযায়ী ভারতের খাদ্য শস্য রপ্তানি করা উচিত, কিন্ত তা হচ্ছে না কেন? — এদিন তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
এই জৈব চাষের ক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কি? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, আমরা এই রাজ্যে জমির প্রয়োজনীয়তা, চাষের স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে যা যা সামঞ্জস্যপূর্ন ভাবে ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তা বিজ্ঞান ভিত্তিক ভাবে সুনিশ্চিত করতে উৎসাহিত করার কাজ করে চলেছি কৃষকদের সাথে- এই অভিমত প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি বিষয়ক পরামর্শদাতা। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা সফরকালে জলপাইগুড়ি কৃষি ভবনে সরকারি বৈঠকের পর এই প্রতিবেদককে উপরিউক্ত কথাগুলি বলেছেন তিনি।