মনীষীদের বিকৃত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে ধৃত ” Specified Tarkata”
HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ পেজের নাম “Specified Tarkata”। ফেসবুকে চালু হয়েছিল বছরদুয়েক আগে। শুরুর দেড় বছরে সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের নিয়েই চলত মজার ‘meme’, কার্টুন বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা। ফলে ফলোয়ারের সংখ্যাও যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। মাসকয়েক আগে থেকেই হটাৎ সেই মজা, আর ‘ মজা’ থাকল না, বদলে গেল নোংরামোয় ও চুড়ান্ত অসভ্যতায়। বিভিন্ন মনীষী এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি পোস্ট করে জুড়ে দেওয়া শুরু হল অশ্লীলতম মন্তব্য, যা বলার, লেখার বা ছাপারও অযোগ্য। তবে সাইবার সেলের পুলিশ সুত্রের খবর, এই পেজটির বিরুদ্ধে অনেক আগেই বহু অভিযোগ জমা পড়ছিল ইনবক্সে।
তবে অভিযোগের আগেই অবশ্য পেজটির বিকৃতমনস্ক পোস্টগুলি নজরে এসেছিল লালবাজার এর সাইবার সেলের। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন পেজটির সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত, তাদের খুঁজে বার করার। তবে পেজ অ্যাডমিনকেও চিহ্নিত করার কাজটিও যথেষ্ট সহজসাধ্য ছিল না। নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি অ্যাডমিনও। ফলে বুঝতে অসুবিধে হয়নি সাইবার সেল এক্সপার্টদের, পেজের নাম “তারকাটা” হলে কী হবে, সাইবার-দুনিয়ার খুঁটিনাটি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নেপথ্যে এই অসুস্থ মানসিকতার থাকা ব্যক্তিটি।
আর প্রতিদিনই সেই অসভ্যতা মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বাড়ছিল, সাথে বাড়ছিল অশ্লীলতার মাত্রা। সুত্রের খবর, অবশেষে লালবাজারের সাইবার সেলের অফিসারদের দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল মিলল গত কয়েকদিন আগের রাতে। সুত্রের খবর এই, সেইদিন রাতেই হাতে নাতে ধরা পড়ে ধারাবাহিক অশালীন পোস্টের কারিগর মূর্তিমান শয়তান।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্তের নাম মণিময় আইচ। দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সে, বিষয় পদার্থবিদ্যা। বাড়ি মেদিনীপুরে, তবে গড়িয়া স্টেশনের কাছে একটি মেস ভাড়া করে থাকতেন মহাশয় এবং সম্প্রতি নমুনা পেশ করছিলেন এই বিকৃতকাম মনোভাব পূর্ণ অশ্লীলতার। যদিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেই নোংরা কাজের সাক্ষী মোবাইল ফোন এবং পেনড্রাইভ গুলি। বর্তমানে সাইবার সেলের হেফাজতেই রয়েছে কালপ্রিট। তবে একজন শিক্ষিত যুবকের কেন এ হেন আচরণ? তা সত্যিই ব্যাখ্যাতীত আজকের সমাজে।
চিত্র ও তথ্যসূত্র ঃ সোস্যাল মিডিয়া।