প্রকৃতির নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মৃত্যু মিছিলের সঙ্গী সেলেবরাও, তবে করোনাকে হারিয়ে আপতত সুস্থ সোনু সুদ
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ
দিন বৃদ্ধির সাথেই সাথেই বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুও। আমজনতার সাথে সেলেবরাও মৃত্যু মিছিলের সঙ্গী। সীতারাম ইয়েচুরির বড় ছেলে আশিস ইয়েচুরি, সংগীত শিল্পী শ্রবণ রাঠোর, কবি শঙ্খ ঘোষ, বর্ষীয়ান মারাঠি অভিনেতা কিশোর নন্দলস্করদের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ ওই মহামারী করোনার প্রকোপেই।
সম্প্রতি মারন ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রান হারালেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির ছেলে বড়ো ছেলে আশিস ইয়েচুরি। ট্যুইট করে ছেলের মৃত্যু সংবাদ জানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আমার বড় ছেলে আশিস ইয়েচুরির আজ সকালে মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬৭ বছর বয়েসে মৃত্যু মুখে ঢলে পড়েন সংগীত শিল্পী শ্রবণ রাঠোর।
চারদিন আগেই বর্ষীয়ান সংগীত পরিচালককে ভর্তি করা হয়ে ছিল হাসপাতালে। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি, তাঁর পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। চিকিৎসক কৃতী ভূষণ শ্রবণ রাঠোরের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করার পর তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৯.৩০ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন শ্রবণ রাঠোর। করোনার জেরে তৈরি কার্ডিওমায়োপ্যাথিই তাঁর মৃত্যুর কারণ। শরীরে পালমোনারি শোথও দেখা গিয়ে ছিল, শেষমেষ মাল্টিমেল অর্গ্যান ফেলিউর হয় তাঁর’।
বাদ গেলেন না বাংলার বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। আগের সপ্তাহেই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে তাঁর। যদিও তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও এ বছর জানুয়ারি মাসে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় তাঁকে। বাড়িতেই করোনার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বুধবার সকালে তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়।
কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন কবি। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ৮১ বছর বয়সী বর্ষীয়ান মারাঠি অভিনেতা কিশোর নন্দলস্কর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অভিনেতার নাতি অনীশ সংবাদমাধ্যম এর কাছে খবরটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অভিনেতার কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসবার পর থানের কাছে একটি কোভিড-১৯ সেন্টারে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তাঁর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় গত সপ্তাহেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
কিন্তু সব আশা বিফলে চলে গেল। পরিবার সূত্রের খবর, তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত হারে কমছিল। এতো গুলো মৃত্যুর খবরের পড়ে আমাদের মন বলবে আর কে বাকি আছে মৃত্যুর খাতা থেকে? তা আমরা কেউ জানি না। তবে এরই মধ্যে একটি ভালো খবর মারন ভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত হলেন বলিউডের অভিনেতা সোনু সুদ।
শুক্রবার বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে একথা জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই। গত ১৭ই এপ্রিল অভিনেতা সংক্রমিত হয়েছেন বলে পোস্ট করেছিলেন। সোনু সুদের অসুস্থতার খবর ছড়াতেই ভেঙে পড়েছিলেন অনুরাগীরা। কারন তাদের কাছে সোনু সুদ দেবতা। ভক্তদের মতে, ‘দেশে আবার করোনা বাড়ছে। আবারও লকডাউন হতে চলেছে। এখন আপনাকেই সব চেয়ে বেশি দরকার ছিল’। সোনু যদিও জানিয়ে ছিলেন তিনি ‘সুপার পজিটিভ’।