বিহারের আদালতে চিনের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, অভিযোগ নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ
HnExpress ১৭ই মার্চ, নিজস্ব প্রতিনিধি, বিহার ঃ বর্তমানে প্রায় গোটা পৃথিবী নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর আতংকে জর্জরিত। WHO এর রিপোর্ট অনুযায়ী, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কারোনা ভাইরাস সারা বিশ্ব জুড়ে মহামারির আকার ধারণ করেছে। প্রসঙ্গত, এই মারণসম ভাইরাসের আঁতুরঘর হলো চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর। যেখান থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা ছড়িয়ে পরেছে সারা বিশ্ব জুড়ে, বাদ যাইনি ভারতও। এখানেও ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা। ফলতঃ সেই কারণেই বিহারের আদালতে চিনের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলো, অভিযোগ মারণ ব্যাধি নোভেল করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়া।
আর এই মৃত্যু তুল্য রোগের প্রকোপে ভারত বা অন্যান্য রাষ্ট্রের থেকে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপ, যার ভিতর বেশি এফেক্টিভ হলো ইটালি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সুত্রের খবর, ভারতে এখনো পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সুত্রের খবর হল, আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, বর্তমান পরিসংখ্যান হলো ১২৫ জন। যার মধ্যে ভারতীয় হলো ১০৩ জন এবং বিদেশী হলো ২২ জন।
আর এত কিছুর ভিতরেই মারণ ভাইরাস ছড়ানোকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন চলছে চিন ও আমেরিকার মধ্যে। আর এই মুহুর্তে সুত্রের খবর, বিহারের মুজাফফরপুরের জেলা ও দায়রা আদালতে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগে চিনের রাষ্ট্রপতি শিং জিনপিং এবং ভারতে রাষ্ট্রদূত সন বেইডোং এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় এক আইনজীবী সুধীর কুমার ঝা।
দায়ের করা মামলায় অভিযোগ উঠেছে যে, বিশ্ব জুড়ে আতংক সৃষ্টি ও মৃত্যু মিছিলের জন্য দায়ী চিনের তৈরি এই নোভেল করোনা ভাইরাস। যা রীতিমতো পরিকল্পনামাফিকই তৈরি করা হয়েছে বলে তাঁর দাবী। মহামান্য আদালতের কাছে তাই তাঁর আর্জি, চিনের রাষ্ট্রপতি ও তাদের নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনিপদক্ষেপ নেওয়া হোক। আর এই মর্মেই তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আর আগামী ২৪শে মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আইনজীবী সুধীর কুমার ঝা এর আগেও প্রায় ৮৭১ টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। যার মধ্যে ৩টি মামলাই আন্তর্জাতিক ব্যাক্তিদের নামে দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধেও তিনি মামলা দায়ের করেছিলেন মুজাফফরপুরের আদালতে।