পেট্রো পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইলেকট্রিক স্কুটি চেপে নিরব প্রতিবাদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ লাক্সারি চার চাকা ছেড়ে দুই চাকাতে সওয়ারি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর। পেট্রো পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইলেকট্রিক স্কুটি চেপে নিরব প্রতিবাদ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপেই নবান্নে গেলেন তিনি। চালকের আসনে ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বিষয়টি রাজনৈতিক প্রতিবাদের অংশ হলেও ছিল না কোনও স্লোগান কিম্বা চড়া সুর।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর দিয়ে জনতার সাথেই স্কুটিতে চেপে নিজের দফতরে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়নে গাঢ় নীল পাড় সাদা শাড়ি আর মাথাতে নীল হেলমেট, কারণ আইনানুযায়ী, দুচাকাতে উঠলেই হেলমেট পড়াটা বাধ্যতামূলক। তার ব্যাতিক্রম নন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। বৃহস্পতিবারই প্রথম ই-স্কুটিতে বসে তেল আর গ্যাসের দাম অবিলম্বে না কমালে কেন্দ্রের উদ্দেশে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
তাই বৃহস্পতিবার সকালে ফিরহাদ হাকিমের ব্যাটারিচালিত স্কুটিতে চেপে নবান্ন পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রী। গায়ে দেখা গিয়েছিল পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের ভাষা স্বরূপ ফেস্টুন। অভিনব প্রতিবাদের সহ নবান্নে আসার পরই জানিয়েছিলেন, কাজ শেষে স্কুটিতে করেই বাড়ি ফিরবেন। সবাইকে অবাক করে দিয়েই দেখা যায় স্কুটির আসনে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্কুটি চালানোয় অনভ্যস্ততা চোখে পড়লেও নবান্ন থেকে টানা দ্বিতীয় হুগলি সেতু অবধি নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্কুটি এগিয়ে যায়।
নিরাপত্তা দিতে রাস্তার দুই ধারে ছিল পুলিশের ব্যারিকেড। আকাশে ওড়ানো হয় ড্রোন। হুগলি সেতুর মুখে আবার ববি হাকিমকে সামনে রেখে যাত্রীর আসনে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরে আবার চালকের সিটে বসে পড়েন তিনি। এরপর ফিরহাদ হাকিমকে আর চালকের আসনে বসতে হয়নি। গড়গড়িয়ে সোজা হরিশ মুখার্জি রোড। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে এদিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রান্নাঘরে আগুন লেগেছে। ভোট এলে বলে বিনামূল্যে গ্যাস দেবে।
তিনি আরও বললেন যে, উল্টে LPG-এর দাম বাড়িয়ে দেয়। এদের থেকে বড় ভাঁওতাবাজ নেই। মোদী সরকার দেশবিরোধী। পারলে সব বিক্রি করে দেয়। নাম পাল্টে দেয়। এরা কোনদিন না দেশের নামটাই পাল্টে দেন’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল নেতা- কর্মীরা। এবার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ছাড়াও নিজেও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লাক্সারি চার চাকার থেকে স্কুটিতে অনভ্যস্ত হলেও বেশ খোঁশ মেজাজেই দেখা গেছিলো বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু এরপর চার চাকা ছেড়ে যদি মুখ্যমন্ত্রী স্কুটিতেই রোজ নবান্নে যাওয়া আসা করেন, তবে কলকাতা পুলিশের রোজকার আরও এক বিরাট দায়িত্ব বেড়ে যাবে এটা বলাই বাহুল্য।