বেজিং ক্রমশ ঝুঁকছে জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্রের দিকে
HnExpress ২৫শে মার্চ, অভিজিৎ হাজরা ঃ বেজিং ক্রমশ ঝুঁকছে জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্রের দিকে এমনটাই খবর রয়টর সুত্রে। এই মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “WHO” —এর রিপোর্ট করোনা ভাইরাস যে গোটা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করছে বলে ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে চীনকে। সুত্র অনুযায়ী জানা যায় চীন, কানাডার গবেষণাগার থেকে করোনা ভাইরাসের জীবাণু চুরি করে উহানের জৈব গবেষণাগারে নিয়ে যায়।
পরে চিনের গবেষকরা তাদের গবেষণাগারে করোনা ভাইরাসের জিন বদলে দেয়। যার ফলে করোনা ভাইরাসের ক্ষমতা কয়েক কোটি গুণ বেড়ে যায়। চিন বদলে দেওয়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে জীবাণু যুদ্ধের জন্য ক্যাপসূল বন্দী করতে থাকে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সেই অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাণঘাতী ক্যাপসুল ফেটে উহানের গবেষণাগারের বাইরের বাতাসে মিশে যায়।
সুত্র অনুযায়ী, চিন চেয়েছিল, শত্রু দেশকে শায়েস্তা করবে এই করোনা ভাইরাস ক্যাপসুল দিয়ে। এই ভাবেই রাসয়নিক গ্যাসের ক্যাপসুল দিয়ে শত্রুদের মেরেছিল সাদ্দাম হোসেনও। জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকি যমজ শহরে পরমাণু বোমা ফেলে ছিল আমেরিকা। নোভেল করোনা ভাইরাস জিনের গঠন বদলে ভয়ঙ্কর রাসয়নিক মারণাস্ত্রই হয়ে উঠেছিল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন মার্কিন অধ্যাপক তথা আইনজীবী ও রাসায়নিক মারণাস্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. ফ্রান্সিস বয়েল।
ফ্রান্সিস বয়েলের বক্তব্য, নোভেল করোনা ভাইরাস জিনের গঠন বদলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। সাধারণ করোনা থেকে এর বিষ অনেক বেশি ভয়ংকর। জিন বদল করা অর্থাৎ জেনেটিক্যাল মডিফায়েড এই করোনা ভাইরাসের জম্মদাতা উড়ানের বায়োসেফটি গবেষণাগার লেভেল ফোর। এই তথ্য আগে থেকেই জানত “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু”।
এমনই বিস্ফোরক দাবি আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মার্কিন আইনজীবী তথা রাসয়নিক মারণাস্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. ফ্রান্সিস বয়েল।
তিনি জোর কন্ঠে দাবি করেছেন, জিন বদল করা শক্তিশালী রাসয়নিক মারণাস্ত্র করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই। প্রসঙ্গত, ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েস কলেজ এর আইনের অধ্যাপক ড. ফ্রান্সিস বয়েল রাসয়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংগঠনের অন্যতম কর্ণধার। তাঁর উদ্যোগেই ১৯৮৯ সালে বায়োলজিক্যাল-ওয়েপেনস অ্যান্টিটেররিজম এ্য।ক্ট বিল পাস করা হয়। ড. ফ্রান্সিস আগেই বলেছিলেন, নোভেল করোনা ভাইরাস নিছকই কোন ভাইরাসের সংক্রমণ নয়।
ইসরায়েল গোয়েন্দা ও মাইক্রোবায়োলজিস্টদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবরেটরিতে অতি গোপনে রাসয়নিক মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। আর সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। এই তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “হু” গোটা বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
ড. ফ্রান্সিস বয়েল বললেন, উড়ানের এই বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবরেটরিকে সুপার ল্যাবরেটরির তকমা দিয়েছিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা “হু”। বলা হয়েছিল, এই গবেষণাগারে ভাইরাস নিয়ে কাজ হলেও তা অনেক বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ। গবেষণাগারের জন্যই রয়েছে আলাদা উইং যার বাইরের পরিবেশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে ড. ফ্রান্সিস বয়েল বললেন সার্স ও ইলোরা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার পরে অভিযোগের আঙুল ওঠে এই গবেষনাগারের দিকেই।
রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং প্রাণঘাতী জৈব অস্ত্র বানাতেই মত্ত গবেষকরা। যারই পরিণতি হাজার হাজার লাখ লাখ মৃত্যু। নোভেল করোনা ভাইরাসের জিনগত বদল ঘটানো হয়েছে ও উহানের গবেষণাগার থেকেই যে ভাইরাস ছড়িয়েছে সেটাও জানেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা “হু” এর অনেক গবেষকরাই। নোভেল করোনা ভাইরাস যে মারণাস্ত্র, তা নিশ্চিত করেছেন মার্কিনসেনেটর টম কটন’ও।
এদিকে কটনের দাবি, চিন জীবানু যুদ্ধের জন্যই যে বানাচ্ছিল ওই ভাইরাস সেকথা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং লুকোতে চাইছেন, কারণ আন্তর্জাতিক আইনে জীবাণু যুদ্ধ নিষিদ্ধ। তাঁরা যে এই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন তা জানাজানি হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাদের। ২০১৫ সালে রেডিও ফ্রি এশিয়া তাদের সমীক্ষায় দাবি করেছিল, চিনের উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী সব ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা। এবার বেজিং ক্রমশ ঝুঁকছে জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্রের দিকে। সেই আশঙ্কাই প্রমাণ হল, চিন জীবানু যুদ্ধের জন্য করোনা ভাইরাসের জিন বদল ঘটিয়ে ছিল।