কয়লাকান্ডে নয়া মোড়, সঞ্জয় এর পর দিল্লি থেকে গ্রেফতার হলেন বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্র
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ
বিধানসভা ভোট দুয়ারে, তার আগেই রাজ্য জুড়ে কয়লা পাচার কাণ্ডে রীতিমতো তৎপরতা বাড়িয়েছে সিবিআই। আমজনতার কথাতে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতেই কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া ফন্দী। মাসের শুরুতেই রাজ্যের ১২টি জায়গায় এক সাথে ইডি হানার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়ে ছিল রাজনৈতিক মহলে। সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তাঁর স্ত্রী এবং শালিকাও বাদ যাননি ইডির জেরার মুখ থেকে।
এহেন অবস্থায় কয়লা পাচার কাণ্ড নয়া মোড় নিল। এ বিষয় নিয়ে রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার আইসি সঞ্জয় চক্রবর্তীকে প্রায় ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তদন্ত শুরুর পর থেকেই তৃণমূল নেতা বিনয় এবং কয়লা পাচারে অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা আপাতত ফেরার। তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও সঞ্জয় চক্রবর্তীর সাথে বেশ ভালো মতোই যোগাযোগ আছে তা জানতে পারেন সিবিআই আধিকারিকগন।
দ্বিতীয় দফা ভোট শুরু হবার পরেই কয়লা কাণ্ডের তদন্ত নয়া মোড় নিল। দিল্লি থেকে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হলেন রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক অশোক মিশ্র। কয়লাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে বাঁকুড়া থানার ওই আইসিকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে ইডির বিশেষ তদন্তকারী দল। অশোক মিশ্র বর্তমানে বাঁকুড়া থানার আইসি পদে কর্মরত। চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে যান তিনি। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করল ইডির গোয়েন্দা বিভাগ।
ইডি’র সূত্রের খবর, দিল্লির ইডির দপ্তরে রেখেই আপাতত তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। কয়লা কাণ্ডে কীভাবে টাকা পাচার হত এবং সেই টাকা কার কার কাছে যেত, চলছে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। এই কয়লাকাণ্ডে আরও কোন্ কোন্ প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত রয়েছে সে বিষয়েও জেরা করে দেখা হচ্ছে। সঞ্জয় চক্রবর্তী ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আসানসোল, বাঁকুড়া সদর এবং রানিগঞ্জ থানায় আইসি পদে কর্মরত ছিলেন বলে পুলিশ সুত্রের খবর।
ঠিক সেই সময় কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজির সঙ্গে তাঁর ঠিক কী রকম সম্পর্ক তাও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই অফিসারগন। তাদের মূল অভিযোগ, এই রাজ্য থেকে কয়লা পাচারের টাকা পাঠানো হচ্ছিল বিদেশে। ঘটনায় রেল, ECL, CISF-এর কর্মীদের একাংশ জড়িত রয়েছে, এমনটাই সন্দেহ ইডির তদন্তকারীদের।