HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ সর্বত্র ও সর্বসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে চলেছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। বস্তুত সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক সময় প্রাণটাই খোয়াতে হয় কর্মরত সাংবাদিকদের। যার পরিসংখ্যাতেও মিলছে সেই প্রমাণ। কেবল ২০১৮ সালেই বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯৫ জন সাংবাদিক।
আর বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে) এর পক্ষ থেকে।
মূলত ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা অনেকাংশে বেড়েছে বলেই দাবি আইএফজে’র। এখন পর্যন্ত এক বছরে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ২০০৬ সালে। সেই বছরে মোট ১৫৫ জন সাংবাদিক নিহত হন। আইএফজে’র তথ্যসুত্র অনুযায়ী, গত বছরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জন্য আফগানিস্তান ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন এখানে
আর শুধুমাত্র হত্যা করাই নয়, সারা বছরজুড়ে অনেক সাংবাদিককেই বিনা কারণে কারাবরণও করতে হয়েছে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ২৫০ জন সাংবাদিককে বন্দি করা হয়েছিল কোনো সঠিক কারণ ছাড়াই। তাঁদের মধ্যে সারা বিশ্বের ভিতর তুরস্কে সর্বোচ্চ ৬৮ জন, চীনে ৪৭ জন, মিসরে ২৫ জন এবং সৌদি আরব ও ইরিত্রিয়ায় ১৬ জন কর্মরত সাংবাদিকদের বন্দি করা হয়েছিল গত বছর।
আর এই নৃশংসতার তালিকা থেকে বাদ যায়নি ভারতবর্ষও। সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় এগিয়ে আছে ভারত সহ বাংলাদেশ ও মায়ানমার। তবে শুধুমাত্র আফগানিস্তানেই গত বছর ১৬ জন সাংবাদিক নিহত হন। এর মধ্যে রাজধানী কাবুলে একসঙ্গে নিহত হন ৯ জন সাংবাদিক। বোমা হামলার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা নিজেরাই প্রাণ হারান।আমেরিকার মেরিল্যান্ডে ‘ক্যাপিটাল গেজেট’ পত্রিকা অফিসেও কিছু বন্দুকধারীদের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন পাঁচ সাংবাদিক।
এছাড়াও মেক্সিকোতে ১১ জন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে ৮ জন এবং ভারতে ৭ জন সাংবাদিক নিহত হন গত বছর। ২০১৮ সালের অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড। তুরস্কে সৌদি দূতাবাসের ভিতরে তাঁকে খুন করে দেহ লুকিয়ে ফেলা হয়। সুত্রের খবরে খাসোগির এমন পরিণতির পিছনে সৌদি যুবরাজের হাত ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রায় প্রতিনিয়তই সারা বিশ্ব তথা দেশ জুরে সাংবাদিকদের উপরে চলছে এমনই অমানবিক আচরণ।