তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়াও আছেন তারকা মন্ডলী, নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী নিজেই
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ শিয়রে পরিক্ষার মতোই এগিয়ে আসছে ভোট। পরিক্ষার মাধ্যমে যেমন পরিক্ষার্থীর গুনগত মান বিচার হয়, তেমনি ভোটের মাধ্যমে বিচার হয় রাজনৈতিক দলের মন্ত্রীদের কাজের গুনগত মান। তবুও ভোট গ্রহনের দিন ছাপ্পা ভোট বা ঝামেলা পাঁকিয়ে ভোটের সঠিক পরিমাপে বিঘ্ন ঘটানো হয়ে থাকে। যেমন পরিক্ষার্থী অসৎ উপায়ে পরিক্ষা দিয়ে থাকে। আমজনতার কথা অনুযায়ী সব দলের উপরই অসৎ উপায়ে ভোট গ্রহন এর বদনাম আছে।
২১ এর ভোটে কোনো রাজনৈতিক দলই নিজের জায়গা ছাড়তে রাজি নয়, তাই ভোটের আগেই যেনতেন প্রকারে কোভিড সুরক্ষার কথা না ভেবেই আপ্রান প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রিগেড জমায়েত থেকে জেলার প্রচার, কোনো কিছুই বাদ যায়নি। প্রথমবার ভোট ঘোষণার প্রায় এক সপ্তাহ বাদে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার। অন্যদিকে আটঘাট বাঁধতে ব্যাস্ত বিজেপি সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কৃষক আন্দোলনে রুখতে গোঁড়ামিতেই বাংলার ভোট হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
এছাড়া, অস্বাভাবিক হারে গ্যাস ও তেলের দাম তো সহোদর ভাই হিসাবে সাথে আছেই। ফলে আমজনতার কথাতে আর যেই আসুক না কেন, বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি যেন না আসে। এমনটাই বলছেন বাংলার একাংশ। পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেস-ISF এর সংযুক্ত মোর্চা।
আজ শুক্রবারে কালীঘাটে নিজের বাসভবনে সাংবাদিক সন্মেলন করে প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।
তালিকায় রয়েছেন, টালিগঞ্জ থেকে অরূপ বিশ্বাস, ডােমজুড় থেকে কল্যাণ ঘােষ, বালিগঞ্জ থেকে সুব্রত মুখােপাধ্যায়, কসবা থেকে জাভেদ খান, বিধাননগর থেকে সুজিত বসু।
দমদম থেকে ব্রাত্য বসু, বারাসত থেকে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, হাবড়া থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জঙ্গিপুর থেকে জাকির হােসেন, রেজিনগর থেকে রবিউল আলম চৌধুরী, জলঙ্গি থেকে আব্দুল রেজ্জাক, হরিণঘাটা থেকে নীলিমা বাগ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি থেকে গৌতম দেব, হাওড়া উত্তর থেকে গৌতম চৌধুরী, আরামবাগ থেকে সুজাতা মণ্ডল, কেশপুর থেকে শিউলি সাহা, সবং থেকে মানস ভুঁইয়া, শ্রীরামপুর থেকে সুদীপ্ত রায়, চন্দননগর থেকে ইন্দ্রনীল সেন, ডেবরা থেকে হুমায়ুন কবীর, পাণ্ডুয়া থেকে রত্না দে নাগ।
পাঁশকুড়া পশ্চিম থেকে ফিরােজা বেগম, কাঁথি উত্তর থেকে তরুণ কুমার সাহা, রামনগর থেকে অখিল গিরি, বালি থেকে রাণা চট্টোপাধ্যায়, শ্যামপুকুর থেকে শশী পাঁজা, হাওড়া মধ্য থেকে অরূপ রায়, সাঁকরাইল থেকে প্রিয়া পাল, চন্দননগর থেকে ইন্দ্রনীল সেন, কলকাতা বন্দর থেকে ফিরহাদ হাকিম, হিঙ্গলগঞ্জ থেকে দেবেশ মণ্ডল, পাথরপ্রতিমা থেকে সনৎ জানা, কাকদ্বীপ থেকে মন্টুরাম পাখিরা, জঙ্গিপুর থেকে জাকির হােসেন, বেহালা পশ্চিম থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চাকদা থেকে শুভঙ্কর সিং।
নৈহাটি থেকে পার্থ ভৌমিক, চণ্ডীপুর থেকে সােহম চক্রবর্তী, মেখলিগঞ্জ থেকে পরেশ চন্দ্র অধিকারী, ইংরেজ বাজার থেকে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, শিতলকুচি থেকে পার্থপ্রতিম রায়, দিনহাটা থেকে উদয়ন গুহ, কালচিনি থেকে পাসাং লামা, রাজগঞ্জ থেকে খগেশ্বর রায়, মাটিগাড়া নকশালবাড়ি থেকে ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়, চাকুলিয়া থেকে অরবিন্দ আজাদ, ইটাহার থেকে মােশারফ হােসেন, বালুরঘাট থেকে শেখর দাশগুপ্ত, গঙ্গারামপুর থেকে গৌতম দাস।
চাঁচল থেকে নীহাররঞ্জন ঘােষ, রতুয়া থেকে সমর মুখােপাধ্যায়, তাঁল মন্তেশ্বর থেকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, করণদিঘি থেকে গৌতম পাল, আলিপুরদুয়ার থেকে সৌরভ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি থেকে মনােজ রায়, মেদিনীপুর শহর থেকে জুন মালিয়া, বাঁকুড়া থেকে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি থেকে ওমপ্রকাশ মিশ্র, বেলগাছিয়া থেকে অতীন ঘােষ, আসানসােল দক্ষিণ থেকে সায়নী ঘােষ, উত্তরপাড়া থেকে কাঞ্চন মল্লিক, ঝাড়গ্রাম থেকে বীরবাহা হাঁসদা, কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে কৌশানি মুখােপাধ্যায়, রাজারহাট-গােপালপুর থেকে অদিতি মুন্সি।
ঝাড়গ্রাম থেকে বীরবাহা হাঁসদা, সিঙ্গুর থেকে বেচারাম মান্না, বেহালা পূর্ব থেকে রত্না চট্টাপাধ্যায়, উলুবেড়িয়া পূর্ব থেকে বিদেশ বসু, কামারহাটি থেকে মদন মিত্র, শিবপুর থেকে মনােজ তিওয়ারি, রাসবিহারী থেকে দেবাশিস কুমার, জোড়াসাঁকো থেকে বিবেক গুপ্তা, দমদম উত্তর থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সােনারপুর দক্ষিণ
থেকে লাভলি মিত্র, ব্যারাকপুর থেকে রাজ চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম থেকে স্বয়ং মমতা ব্যানার্জি, ভবানীপুর থেকে শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আজ দুপুর ২ টায় এই নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী নিজেই।