মুখ্যমন্ত্রী ৪৮ ঘন্টা পর বাড়ি ফিরলেও হুইল চেয়ার সঙ্গী তাঁর, দেখতে এলেন মেধা পাটকর

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ হুইল চেয়ারকে সঙ্গী করেই প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর বাড়ি ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলো তাঁকে। এই মুহুর্তে সম্পূর্ণ হাঁটা চলা বন্ধ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথা কমার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। যদিও পায়ের পাতা এবং গোড়ালি ফুলে রয়েছে এখনো। পায়ের প্লাস্টার খুলে পরীক্ষা করা হয়েছে দীর্ঘক্ষণ। তাঁকে বিশেষ ধরনের জুতো ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখতে পৌঁছান সমাজসেবী মেধা পাটকর। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় তৈরি ছয় সদস্যের চিকিৎসক বোর্ডে রয়েছেন কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শঙ্কর মণ্ডল, অর্থো বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মুকুল ভট্টাচার্য, সার্জারি অধ্যাপক ডাঃ ডিকে সরকার, গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগীয় প্রধান গোপালকৃষ্ণ ঢালি, নিউরো সার্জারি বিভাগীয় প্রধান শুভাশিস ঘোষ এবং অধ্যাপক ডাঃ বিমানকান্তি রায়।
হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঁ পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতায় সিভিয়র ইনজুরি রয়েছে এবং ডানদিকের কাঁধে ও কব্জিতেও চোট রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখনও চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন। ফলে মমতার নির্বাচনী প্রচারে তিনি স্বাভাবিক প্রচার করতে পারবেন কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বেশ কয়েকদিন হুইলচেয়ারেই কাটাতে হবে তাঁকে।

হুইলচেয়ারের ব্যবহার ভালভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা এবং সেই সাথে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য এবং দেহরক্ষীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে আহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁ পায়ে কোনও ভাবে চাপ না পড়ে বা নতুন করে আঘাত না লাগে৷ এখন শুধু দেখার বিষয় তিনি কত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ভোট ময়দানে প্রচারের লড়াইয়ে স্বাভাবিক রীতি অনুযায়ী যোগ দিতে পারেন!