ফের সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা

HnExpress পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুর ঃ সত্য ঘটনাকে জনসমক্ষে তুলে ধরাকে বাঁধা দিয়ে সাংবাদিকদের জেলে ভরার হুমকি দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারীর বিডিও সুদেষ্ণা পাল। মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকের সাথে এদিন দুর্ব্যবহার করেন তিনি। সত্য ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টার কারনে শুধু সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে কন্ঠ রোধের চেষ্টা, সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য ছবি তোলার কারনে সাংবাদিককে জেলে পোড়ার হুমকিও দেন বিডিও।
ঘটনায় অভিযুক্ত বিডিও সুদেষ্ণা পাল-এর ভূমিকায় নিন্দার ঝড় দক্ষিণ দিনাজপুর সহ গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। সোমবার এই ঘটনা ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকে। সুত্র থেকে জানা গেছে সোমবার উদ্যান পালন দপ্তর থেকে উপভোক্তাদের দেওয়ার জন্য গাছ নিয়ে আসে গাছের একটি বরাত পাওয়া সংস্থা। কিন্তু দেখা যায় গাছগুলির বেশীরভাগ সংখ্যকই মরা এবং পচা।
এমনকি সাধারণ মানুষদের অনেকের কাছেই এটা বোধগম্যের উপযোগী নয় যে, এগুলি কি গাছ না আবর্জনার স্তুপ? যা দেখে সাধারণ মানুষেরাও আওয়াজ তোলেন যে এই গাছগুলি রোপনের অযোগ্য। এবং সেই ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌছে সরকারি ভাবে বরাত পাওয়া বিতরণের জন্য আনা মরা ও পচা গাছগুলির ছবি তুলতে যাওয়া একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বংশীহারী ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা পাল।
অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আমাদের এবছরের পুজো পরিক্রমা ২০১৯, যারা যারা আমাদের সাথে সহযোগী পার্টনার ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারা অতিসত্বর যোগাযোগ করুন ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬।
পুরো ঘটনা ক্যামেরা বন্দী হতে দেখে বংশীহারী ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা পাল গাছগুলি বরাত পাওয়া সংস্থাকে ফিরিয়ে দিলেও ঘটনার পর ঐ বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিককে ছবি তোলার কারনে জেলে পোরার হুমকি দেন। সত্য ঘটনা তুলে ধরার কারনে বিডিও সুদেষ্ণা পাল সাংবাদিকদের সাথে যে দুর্ব্যবহার করে এবং তাদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা চাউড় হতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ উত্তরবঙ্গ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষেরা প্রশ্ন তুলতে আরম্ভ করেছে যে, তাহলে কি বিডিও কিছু আড়াল করতে চেয়েছিল, যা আড়াল না হওয়ায় আজ বিডিও-র অসংবিধানিকভাবে ক্ষমতা জাহির করা রোষের মুখে পরল সাংবাদিকরা! কি কারনে বিডিও-র এমন ব্যবহার তা জানতে ঘটনার পরে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিডিও সুদেষ্ণা পাল-এর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও উনি (বিডিও) ফোন ধরেননি। আর এই নিন্দনীয় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জার্নালিস্টস্ ক্লাব।