HN Express—এর প্রতিবেদনে একটি মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেন অভিনেতা সুরজিৎ চৌধুরী
HnExpress ২৮শে মার্চ, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ঃ গণমাধ্যম কখনো সমাজের স্বার্থে, কখনো রাজ্যের স্বার্থে আবার কখনো দেশের স্বার্থে সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক খবর, সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সেই কাজ নীরবে, নিরলসভাবেই করে চলেছে। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারির প্রকোপে যখন মৃত্যু মিছিল চলছে, সেই মিছিলের সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে সঠিক খবর সঠিক সময় পৌঁছে দিচ্ছেন সেই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাই। HN Express—এর প্রতিবেদনে একটি মানবিক আবেদন জানানো হয়ে তাদের সুরক্ষার বিষয় নিয়ে, যার জেরে এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কিছু সমাজসেবীরা।
আর এই ভয়ঙ্কর আবহে এবার সেই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের কিছু সুরক্ষার দাবী সবার প্রথমে আপনাদের সামনে তুলে ধরে ছিল HN Express। প্রসঙ্গত, গত পরশু আমাদের একটি প্রতিবেদনে দেখেছেন কি পরিমাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা কাজ করে চলেছেন, যেখানে ভারত তথা রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সংবাদ সম্প্রচার হতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস বাণী না আসলেও, নড়ে চড়ে বসেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
আর আপনাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহে আমরা আপ্লুত ও কৃতজ্ঞ। সাধারণ মানুষ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রতি যে আবেগ দেখিয়েছেন, তা অনস্বীকার্য। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে এগিয়ে এসেছেন কলকাতার বিশিষ্ট অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ সুরজিত চৌধুরী। তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, “একজন নাগরিক হিসাবে আমি খুবই খুশি ও গর্বিত যে দুই সরকার একসাথে মানুষের পাশে রয়েছেন। সেন্ট্রাল মিনিষ্ট্রি থেকে খুব ভালোভাবে এই করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা করা হচ্ছে।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন তারা এই মহামারীর মোকাবিলায়। এখনও কোনো নেগেটিভ কাজ কোন সরকারের তরফেই হয়নি।যে যে পদক্ষেপ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছেন তা সবই প্রশংসাযোগ্য। কেন্দ্র ও রাজ্য একসাথে লকডাউনও জারি করেছেন। মানব জাতিকে রক্ষার ক্ষেত্রে এটা একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। খুব ভালো সিদ্ধান্ত। পুরোপুরি সমর্থন করি। আর এই ২১ দিন লক ডাউনে সকলে সরকারের বিধি নিষেধ মেনে চলুন।
তবে এই ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও যে প্রশংসনীয় কাজ করছেন তা বলাই বাহুল্য। তারাও জীবন পণ করে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, তাই তাদের পাশে আমি যথাসাধ্য ভাবে থাকার চেষ্টা করছি, এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করব”। আর শুধু প্রতিশ্রুতিই নয়, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তিনি সাংবাদিকদের সুরক্ষার খাতিরে তাদের কাছে কিছু মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানালেন।
এইভাবেই কিছু সমাজসেবী মানুষের সদিচ্ছা ও বিন্দু বিন্দু প্রচেষ্টার জোরেই করোনা মুক্ত হবে আমাদের ভারতমাতা। আপনারাও আমাদের এই মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াতেই পারেন, দাঁড়াতে পারেন গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের পাশে, যারা ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী বা পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনাদের সুরক্ষার জন্য সচেতন করতে জরুরি পরিষেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন নিজেদের। তাদের সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে।