পুলিশের স্ত্রীকে নিয়ে কু-মন্তব্য করায় তাঁরই গুলিতে নিহত ৩ সহকর্মী


HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি ঃ কথায় আছে, ভালবাসা আর যুদ্ধে নাকি সবই জায়েজ। হটাৎই পুলিশ সহকর্মীর ছোড়া গুলিতে নিহত হলেন ৩ জন পুলিশকর্মী। যার নেপথ্যে রয়েছে সেই ভালোবাসা। কিন্তু এ কেমন ভালবাসা, যা প্রাণ নিয়ে নিলো তিনজন মানুষের। তা-ও আবার তাঁরা তাঁরই সহকর্মী। এমনই এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে রাজধানী শহরে। পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশকর্মী প্রবীণ রাইয়ের স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁরই সহকর্মীরা কিছু অশালীন মন্তব্য করেন।

যা শুনে রাগের বশে তিনি হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে তিনজনকেই গুলি চালিয়ে হত্যা করে বসেন। বর্তমানে সিকিম পুলিশের অধীনে দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন প্রবীণ রাই। ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের জন্য দিল্লির হায়দারপুর এলাকার সুরক্ষিত জলের প্লান্টের ডিউটিতে ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও। যদিও ঘটনার পরই তিনি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কী এমন অশালীন কথা বলার কারণে সহকর্মীদের খুন করলেন তিনি? তা এখনও ধোঁয়াশায়, এ বিষয় স্পষ্ট করে কিছু বলেননি প্রবীণ।

স্পেশ্যাল কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, জেরায় অভিযুক্ত বলেন তাঁর স্ত্রীর নামে কু-মন্তব্য করেছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। আর এটা তাঁকে মানসিক চাপে রাখতেই করছিলেন বলে তিনি দাবী করেন। আর তখনই মেজাজ হারিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হন তিনি। ৩ সহকর্মীরকে নিজের সার্ভিস বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। তবে তিনি যে ঠিক কাজ করেননি, তা তিনি রাগ ঠান্ডা হতেই বুঝতে পারেন।

আর সেই কারণেই নিজেই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। ডেপুটি কমিশনার (রোহিনী) প্রণব তয়াল বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই তিন পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পরে আছেন। যাদের মধ্যে দু’জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তৃতীয়জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’ গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।