February 15, 2025

লগ্নজিতার অনুভূতির পরশে ‘এভরিথিং ইজ লিভিং‘

0
Advertisements

HnExpress বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা, ৭ জানুয়ারি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর শিল্প – সংস্কৃতিতে তাক লাগালো একরত্তি এক বঙ্গতনয়া লগ্নজিতা। বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছে কলকাতায়। ওকে নিয়ে রবিবার একটা অন্য রকম অনুষ্ঠান হয়ে গেল পার্ক স্ট্রিটের অক্সফোর্ড বুক স্টোরে। প্রকাশিত হল লগ্নজিতার বই ‘এভরিথিং ইজ লিভিং‘।

২০১৫ সালে নিউ ইয়র্কের ‘পেনম্যানশিপ বুকস’ প্রকাশ করেছে লগ্নজিতার ‘দিস ইজ আওয়ার ওয়ার’। সে বছর ওর ‘পোয়েট্রি সোসাইটি অফ আমেরিকা’-র ‘দি সিটি দ্যাট নেভার স্টপস গিভিং’ এবং ‘হিউম্যানিটিজ টেনেসি’-র ‘অ্যান ইনসিগনিফিকেন্ট ব্যালকনি‘ মুগ্ধ করে বোদ্ধাদের।

২০১৬ সালে ‘সাউথ-ইস্ট রিজিওনাল পোয়েট লরিয়েট’ শিরোপার পাশাপাশি আমেরিকার জাতীয় ‘ইউথ পোয়েট লরিয়েট’-এর পাঁচ জন ফাইনালিস্ট হওয়ার যোগ্যতা পেয়েছিল। ২০১৭-তে প্রকাশিত হয় তার ‘হোয়াই আই মাস্ট কিপ মুভিং অ্যান্ড থিঙ্কিং অ্যান্ড সিইং’, ২০১৮-তে সাংহাই লিটেরারি রিভিইউয়ে ‘দি স্কিন ইউ আস্কড ফর‘। এ ছাড়াও ‘কসমস‘ এবং ‘দি লাস্ট নাইট ইন কলকাতা’। কবি-লেখক হিসাবে নাশভিলে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই বঙ্গতনয়া।

অক্সফোর্ড বুক স্টোর্সে অনুষ্ঠানে লগ্নজিতা ওর কবিতা পরে শোনালো। ওর প্রিয় গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এসেছিলেন বইটির উদ্বোধন করতে। অনিন্দ্য একাধারে অভিনেতা ও সাংবাদিকও। বাবা শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় সবাইকে অনুরোধ করলেন লগ্নজিতাকে আশীর্বাদ করতে।

শুভঙ্করও কবি। লগ্নজিতার বয়সে ওঁর, মানে শুভঙ্করের লেখা কিছু কবিতা লিখেছিল মেয়েটি অনুবাদ করেছে। ইংরেজিতে সেটা ও শোনালো। ন্যাশভিলের প্রথম ‘ইউথ পোয়েট লরিয়েট’ লগ্নজিতা। ওকে অনিন্দ্য বললেন, আমি তো কবিতা লিখতে পারি না। এর পরে যখন তোমার আরও কবিতার বই বেরোবে আমাকে উদ্বোধন করতে ডেকো না, আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। তুমি অনেক বড় হও এগিয়ে যাও। এছাড়াও বললেন, ও যে শহরে থাকে, মানে নাশভিলে এমন পরিবেশ যে গানের প্রতি যে কোনও মানুষেরই টান তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন অভিনেত্রী ও আবৃত্তিকার অধ্যাপিকা সুকৃতি লহরী। তিনি বললেন, জন্মানোর পর লগ্নজিতাকে নিয়ে নার্সিংহোম থেকে ওর মা বাবা বাড়ি ফিরছিল, আমি বলেছিলাম এই মেয়ে কবি হবে। আমার কথা যে এইভাবে সত্যি হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। এ ছাড়াও মেয়েটির কবে কি বই প্রকাশিত হয়েছে, তার আখ্যান শোনালেন সুকৃতি।

ক‘দিন বাদেই কলকাতায় আমেরিকান সেন্টারে শোনাবে তাঁর উত্তরণের গল্প। পড়বে ওঁর কবিতার নানা অংশ। আলোচনার শিরোনাম— ‘সব কিছুই চলে যায়’।

Advertisements

Leave a Reply