“স্ত্রী রত্না” নাকি “বান্ধবী বৈশাখী” সবুজ নাকি গেরুয়া, কোন পথে শোভন? জানতে হলে এখনই ক্লিক করুন

HnExpress ভাস্কর বাগচি, ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ রাজনৈতিক বাজারে জার্সি বদল করাটা অপরাধ না হলেও গদ্দার শব্দটার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পরে লোভ লালশায় ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস, বাম নেতা, বিধায়করা। একটাই স্লোগান ছিল তখন, উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতেই নাকি জার্সি বদল। বাম কংগ্রেসের নির্বাচিত বিধায়করা গদ্দারী করে দিদির উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হয়েছেন।এর পরে ২০১৬ সালে কংগ্রেস – সিপিএম যৌথভাবে লড়াই করেন। নির্বাচনে জয়ী হয়েই বিধায়করা লাইন দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে, যারা গেলেন তাদেরকে নেত্রী বরণ করে নিলেন। কিন্তু দিদি কি ভাবলেন না এরাই আসলে গদ্দার, যে দলের টিকিটে তারা জিতেছে সেই দলের সাথেই গদ্দারী করে তাঁর দলে যোগ দিয়েছে? মুকুল দল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় মুকুল যদি গদ্দার হয়, বা মুকুল পুত্র শুভ্রাংশ যদি গদ্দারের পুত্র হয় তাহলে বাম কংগ্রেসের দলত্যাগীরা কি গদ্দার নয়, এখন উঠছে সেই প্রশ্নই?
আসলে জনগনের কল্যানের চেয়ে বর্তমান রাজনীতিতে প্রাধান্য পাচ্ছে ধান্দাবাজি। যেদিকে পাল্লা ভারি সেই দিকের জার্সি পড়া শুরু। যার যার নিজের উন্নয়ন করাটাই হলো মুল আদর্শ বা উদ্দেশ্য! রাজ্য রাজনীতিতে এই দলবদল বা পালাবদল নিতান্তই পান্তাভাত। শাসক বিরোধী শুন্য করতে গিয়েই বিজেপিকে সেদিন আমন্ত্রন জানিয়েছিল তৃণমূল। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকা সত্বেও বাম কংগ্রেস ভাঙ্গীয়ে দলে টানার কোনো অর্থ থাকে কি? শাসক বিরোধী শক্তি ভাগাভাগি থাকলে সুবিধা হত শাসক দলেরই।তা শাসক বিরোধী জনগন তাই কি এবার বেছে নিয়েছে বিজেপিকে? উত্তর স্বরূপ এবারের ভোট যুদ্ধে কিন্তু তারই ইঙ্গিত মিলেছে। গেরুয়ার অনুকুলে গা ভাসাতে ব্যাস্ত তৃণমূল নেতাদের একটা বড় অংশ। যার সৌজন্যে সে অবশ্যই মুকুল। এখন আসল বিষয় হলো সম্প্রতি বীরভূমের মনিরুল ইসলামের পর এবার কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় কি সেই পথে হাটতে শুরু করেছেন? নারদ কান্ডের শোভন চট্টোপাধ্যায় কি এবার জার্সি বদলে দলিয় কর্মীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে’ লড়বেন?
তবে তা কিন্তু আগামী সময় বলবে, কারন সুত্রের খবর অনুযায়ী তিনি বান্ধবী বৈশাখীর নৌকাতেই পা দিয়েছেন। দিদি মমতা নাকি শোভনকে সুত্র মারফত জানিয়ে দিয়েছেন বৈশাখীকে বিয়োগ না করলে দলে কোনদিনই ভাল জায়গা পাবেন না। অন্যদিকে বৈশাখীকে যাতে হারাতে না হয় তার জন্য মুকুলের সাথেও শোভনের যোগাযোগ রয়েছে রীতিমতো। সুত্রের খবর বর্তমানে দিল্লি গেছেন শোভন, তাই তৃণমূল নেতারা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।