‘ডাউন দি এজেস’ থেকে ‘স্টোরিজ ফ্রম এ পোস্ট অফিস’
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা : ‘ডাউন দি এজেস’— কথাটার আক্ষরিক অর্থ কী হতে পারে? সময়ের ধারাপাতে? না, যুগান্তরের পথে? মানেটা যা-ই হোক, ইতিহাস ঐতিহ্যপ্রেমীদের একাংশ জানলেন শনিবার একটা স্মরণীয় কাজ করল কেন্দ্রীয় সরকারের ডাক বিভাগ। ‘ডাউন দি এজেস’নামে একটি ‘কফি টেবিল‘ বই প্রকাশ করা হয় এক অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায় দেখানো হয় এক তথ্যচিত্র ‘স্টোরিজ ফ্রম এ পোস্ট অফিস’।
যুগান্তরের সাথে সাথে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। আগে পোস্ট অফিস বললেই মনে ভেসে উঠত চিঠির কথা। কখনও বা মানি অর্ডারের একমাত্র মাধ্যম। এখন সে সব ইতিহাস। কিন্তু ডাক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতিকথা। অনেক অবেগ। মনের মণিকোঠায় ধরে রাখা স্মৃতি সত্বার ঝাঁপি। ওয়ারেন হেস্টিংসের আমল থেকে এই সে দিনের পোস্টাল ব্যাঙ্ক খোলা পর্যন্ত বিবর্তনের আলেখ্য ধরে রাখা হয়েছে ‘জিপিও কলকাতা/ ডাউন দি এজেস’-এ। ম্যাপলিথো কাগজে ছাপা সুন্দর ঝকঝকে ৯৬ পৃষ্ঠার বই।
কলকাতায় জেনারেল পোস্ট অফিসের (জিপিও) সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন হল এক সপ্তাহ ধরে। শনিবার রোটারি সদনে অনুষ্ঠিত হল শেষ পর্যায়ের শেষ অনুষ্ঠান। এ দিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেক্রেটারি (ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্ট) এ.এন নন্দা থেকে শুরু করে চিফ পোষ্ট মাস্টার জেনারেল(ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল) অরুন্ধতী ঘোষ সকলেই অল্প বিস্তর স্মৃতি রোমন্থন করেন ঐতিহ্যশালী জিপিও-র।
ভাষণ পর্ব শেষে সম্মান জানানো হয় প্রবীন ডাকটিকিটের নকশাকারী দীপক দে এবং জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মানিক জৈনকে। এ ছাড়াও যাঁদের ছাড়া এই পোস্ট অফিস চালানো অসম্ভব, পুরস্কার দেওয়া হয় সে রকম কিছু ডাককর্মীকে। জিপিও নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘স্টোরিজ ফ্রম এ পোস্ট অফিস’– এর নির্মাতা অনির্বাণ দত্তকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন পিএমজি জে চারুকেশি। সমাপ্তি ভাষণ দেন অন্যতম সহ অদিকর্তা সহদেব বেরা।