সে, আমি ও বিড়ালতপস্বী
HnExpress অন্যরকম, শুভাদিত্য ঘোষ দস্তিদার ঃ তার মুখটা মনে পড়ছে না কিছুতেই
সকাল থেকে চায়ের দোকানের সামনে
সে দাঁড়িয়ে থাকতো, এক মুখ দাঁড়ি নিয়ে
যেন বিড়ালতপস্বী।
বছর আট আগে আমাদের সে বলতো
কবিতা লেখা আর তাস খেলা দুই’ই শৌখিন নেশা! সাতাশি সাল থেকে মনে মনে হাসতাম আর ভাবতাম।
আঠারো থেকে বত্রিশে অনেক মুখ গেছে ভেসে
তবুও তো আমরা দাঁড়িয়ে আছি কবিতাবীক্ষায়।
লোকে আগে ‘কমরেড’ বললে প্রথমেই চোখে ভাসতো চে’ কিংবা হোচিমিনে’র মুখচ্ছবি,
মাত্র ক’টা বছরে কি রকম পাল্টে গেল মুখগুলি,
যে কদিন আগে ছিল সমাজবিরোধী
সে এখন কেমন সমাজদরদী,
যার হাতে নিরাপদ ভাবতাম ‘মে দিনের পতাকা’
সে আজ গণ্ডমূরখের মতো পরস্ত্রীর কোমরে হাত রেখে রাস্তা পার হচ্ছে।
তবু আজ তুমি ওর মুখ মনে পড়াতে চাইবে?
এমন একটা ভান নিয়ে সে হাঁটে দেখে মনে হবে
ঙ্গ্যানীদের মাতৃভাষা বুঝি গম্ভীর থাকা।
তবে কালের চাকা যে ঘুরছে…..
রাম রহিমের দল এখন বেশ বুঝতে পারছে
যে অট্টালিকায় আজ থাকে সে,
আগামী প্রভাতে তা হবে চুরমার।
আজ সে যখন আর নেই আমরা তবুও আছি
তাসের ঘর ভেঙে নব – নব কবিতায়
এখনও মানুষের সাথে।।