April 24, 2025

সারা ভারত ধর্মঘট -এর দ্বিতীয় দিনেও সবত্রই যান পরিষেবা ছিল অব্যাহত

0
Advertisements

বিশেষ প্রতিবেদন ঃ ৮ ও ৯ জানুয়ারী শ্রমিক সংগঠনগুলি সারাদেশে দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কেন্দ্রের শ্রমিক নীতির বিরোধিতা করে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট।এই ধর্ম ঘট ডেকেছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি। সারাদেশের পাশাপাশি কাটোয়া মহকুমাতেও শুরু হয়েছে ধর্মঘট। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে কাটোয়া বাসস্ট্যাণ্ড থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক। কাটোয়া কালনা এস টি টি কে রোড়ে ও কাটোয়া-মালডাঙ্গা রোড়ে বাস, লরি, টোটো সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক।

দাঁইহাট শহরের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। জনজীবন স্বাভাবিক। স্কুল, অফিস খোলা থাকলেও দাঁইহাট সাব পোষ্ট অফিস প্রথম দিন বন্ধ থাকলেও দ্বিতীয় দিনে খোলা আছে খবর পাওয়া যায়। অন্যান্য দিনের মতই রাস্তায় লোক চলাচল সহ অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিক। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অন্যান্যদিনের মতই স্বাভাবিক। যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য রাস্তায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সঙ্গে রয়েছে পুলিশের টইলদারি।


বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন কোন প্রভাবই পড়ল না দিনহাটায়। ধর্মঘটের সমর্থনে বামেদের এদিন মিছিল বের হলে বনধ সমর্থকদের আটকে দিয়ে তাদের গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সি পি এম নেতা তারাপদ বর্মন, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা আব্দুর রউফ, বিকাশ মণ্ডল, জয় গুহ, এসএফআই নেতা শুভ্রালোক দাস, প্রবীর পাল, প্রবোধ নাগ প্রমুখের নেতৃত্বে এদিনের মিছিল দিনহাটার শনিদেবী স্কুল এলাকা থেকে শুরু হয়ে থানার সামনে আসতেই দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে পুলিশ মিছিল আটকে দিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
বামেদের ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতালের কোনও প্রভাবই পড়ল না ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। খোলা রয়েছে জুট মিল থেকে বাজারহাট, স্বাভাবিক ভাবেই চলছে বাস এবং ট্রেন পরিষেবা । সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। যথেষ্ট পরিমাণে রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ।সকাল থেকে নজরে পড়েনি বন্ধ সমর্থনকারীরা বেশ কিছু জুট মিলে উপস্থিতির হার কম থাকলেও জুট মিল চলছে স্বাভাবিক ভাবেই। মিল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মিলে কাজের কোনও সমস্যা হচ্ছে না।


সকাল থেকেই টিটাগড়ের পৌরপিতা মণীশ শুক্লা ঘুরে দেখেন বিভিন্ন জুট মিল। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুয়ায়ী রাজ্যে কর্মসংস্কৃতি রয়েছে। সেই কারণে বন্ধের কোনও প্রভাবই পড়েনি। টিটাগড়ে সমস্ত কলকারখানায় শ্রমিক উপস্থিতির হারও রয়েছে স্বাভাবিক।

Advertisements

Leave a Reply